মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে আপত্তিকর ভাষা, সর্বস্তরের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯ ০৭ ০১  

ব্যাচেলর-পয়েন্ট-নাটকে-আপত্তিকর-ভাষা-সর্বস্তরের-ক্ষোভ

ব্যাচেলর-পয়েন্ট-নাটকে-আপত্তিকর-ভাষা-সর্বস্তরের-ক্ষোভ

একটি দৃশ্যে পাশা জাকিরকে ‘যৌনকর্মীর ছেলে’ বলে একাধিকবার গালি দিয়েছে। নাটকে অবশ্য তার প্রতিবাদ করেছে জাকির। দৃশ্যটি বেশ ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। এর কড়া সমালোচনা করেছেন অনেকে।

বিভিন্ন গ্রুপে চলছে সমালোচনা। কেন্দ্রবিন্দুতে পাশা চরিত্রের অভিনেতা মারজুক রাসেল। মূলত তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে ‘যৌনকর্মীর ছেলে’ শব্দটি।

সাইবার ৭১ এর সূত্র দিয়ে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে একাধিক পোস্ট করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের নতুন ট্রেন্ড এই  ‘যৌনকর্মীর ছেলে’ গালি। এই নাটকের বেশিরভাগ দর্শক উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ে, তাই স্বভাবগতভাবেই জমজমাট এই গালির ব্যবহার এখন সর্বত্র এবং সর্বজন স্বীকৃত।

এর আগেও ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকটি ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। তবে এসবে কান পাতেননি এ নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। আপত্তিকর গালির ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে নির্মাতা অমিকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি তিনি। মারজুক রাসেলকেও মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

এদিকে বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছেন আনোয়ার হোসেন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী। বাংলা নাটক গ্রুপে নাটকটির স্ক্রিনশট দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘নিষিদ্ধ করা হোক ব্যাচেলর পয়েন্ট’। নিষিদ্ধে কিছু কারণ তুলে ধরেছেন আনোয়ার। লিখেছেন, ‘বিনোদনের নামে নোংরামিতে সব সময়ই বেস্ট। নানিকে অশ্লীল গালি দেওয়া শিখিয়েছে এই নাটক। মদ খাওয়া, কথায় কথায় গালিগালাজ শিখিয়েছে এই নাটক। মেয়েদের আগুন বলে ডাকা শিখিয়েছে এই নাটক। পর্ন ভিডিওকে ১৯-২০ নামে স্বাভাবিক করে তোলা। নতুন এলো যৌনকর্মীর ছেলে।’

আরাফাত মৌসিম নামের একজন লিখেছেন, ‘যৌনকর্মীর ছেলে, সহবাস’ - এইগুলা কী, এসব খুব দ্রুত থামানো উচিত। এরা পোলাপানদের ব্রেইনওয়াশ করে ফেলছে। সবচেয়ে খারাপ লাগে তখন, যখন দেখছি যারা এই বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করতেছে তারাও এক শ্রেণির মানুষ  দ্বারা আক্রমণের শিকার হচ্ছে।

বাংলা নাটকপ্রেমীদের অনেকেই বলছেন, আপত্তিকর ভাষায় ব্যবহার করে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়, কিন্তু ধরে রাখা যায় না। এ সমস্ত বিকৃত ভাষার ব্যবহার বন্ধের দাবিও করেছেন অনেকে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী