বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বেতাগীতে হঠাৎ বেড়েছে চোখ ওঠা রোগ

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২২ ১৪ ০২ ০১  

বেতাগীতে-হঠাৎ-বেড়েছে-চোখ-ওঠা-রোগ

বেতাগীতে-হঠাৎ-বেড়েছে-চোখ-ওঠা-রোগ

সম্পর্কিত খবর গরমে বেড়েছে চোখ ওঠা রোগ বরগুনার বেতাগীতে হঠাৎ করে বেড়েছে চোখ ওঠা (কনজাংটিভাইটিস) রোগীর সংখ্যা। প্রতিবছর গ্রীষ্মে এ ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগের দেখা মিললেও এবার শরতে বেড়েছে এর প্রকোপ। শিশু, বয়স্কসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে এ রোগে প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন চোখের প্রদাহ রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

তবে এ হাসপাতালে চোখের চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। অনেকেই ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বাইরের ফার্মেসি থেকে ড্রপ কিনে ব্যবহার করছেন চোখে।

চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ ওঠাকে কনজাংটিভাইটিস বা রেড/পিংক আই বলে। রোগটি মূলত ছোঁয়াচে ও ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। কারো কারো চোখ ওঠা হয়তো তিনদিনে ভালো হয়ে যায়। আবার অনেকের তিন সপ্তাহও লাগতে পারে।

জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে চোখে চুলকানি, লাল হওয়া ও পানি পড়ার লক্ষণ নিয়ে রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন। কিন্তু হাসপাতালে চোখের চিকিৎসক না পেয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই প্রাইভেট ক্লিনিকেও চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।

রোগী উত্তম শীল বলেন, আমার চোখ লাল হয়ে আছে, সঙ্গে চুলকানি। সকালে দুই চোখ আটকে থাকে, পানি দিয়ে অনেকক্ষণ পরিষ্কার করে চোখ খুলতে হয়। রোগটি ছোঁয়াচে বলে চুল কাটাতে আসছেন না কাস্টমারও।

সাইদুল ইসলাম মন্টু নামে আরেকজন বলেন, চোখের এ সমস্যা নিয়ে সরকারি হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে গেলে বলা হয়, হাসপাতালে চোখের কোনো ডাক্তার নেই। বাইরের একটি দোকান থেকে ড্রপ কিনে ব্যবহার করছি। এখন মোটামুটি ভালো আছি।

বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক আবু বকর বলেন, সম্প্রতি সারা দেশেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। এ সময়টাতে একটু সচেতন থাকলে ভয়ের কিছু নেই। তবে আক্রান্ত হলে বাড়িতেই থাকতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে গেলে চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী