বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশ-নেপাল ফুটবল সম্পর্ক ৫-১০ বছরের নয়: বিরাট জংসাই

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪ ০২ ০২  

বাংলাদেশ-নেপাল-ফুটবল-সম্পর্ক-৫-১০-বছরের-নয়-বিরাট-জংসাই

বাংলাদেশ-নেপাল-ফুটবল-সম্পর্ক-৫-১০-বছরের-নয়-বিরাট-জংসাই

চারদিন আগে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়াম থেকে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। নেপাল জাতীয় নারী দলকে হারিয়ে বাংলাদেশের এমন সফলতা গোটা নেপাল জুড়ে আলোচিত হয়েছে।

দেশটির এক নম্বর খেলা ফুটবল। এ কারণে ফুটবলের আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় ম্যচগুলোতে দর্শকে ঠাসা থাকে গোটা স্টেডিয়াম। ব্যতিক্রম ছিল না গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বনাম নেপাল ফাইনালেও। ওই ম্যাচে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল দশরথ রঙ্গশালা। স্বাগতিক দর্শকদের এমন এমন বাঁধভাঙা সমর্থনের বিপরীতে সাবিনারা যে দাপুটে খেলা উপহার দিয়েছে তা দীর্ঘদিন মনে রাখবে নেপালের সমর্থকরা।

এদিকে নারী দল নেপাল জয় করে ফিরতে না ফিরতেই ফের নেপালে বাংলাদেশের ফুটবল। এবার সেখানে যাচ্ছে পুরুষ ফুটবল দল। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক নেপাল জাতীয় দলের সঙ্গে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। বর্তমানে কম্বোডিয়ায় রয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল স্বাগতিক কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়লাভ করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের এই ফুটবলিং সম্পর্ক একদিনে গড়ে উঠেনি। দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে সফর বিনিময়। বিষয়টি স্বীকার করেছেন নেপাল জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার এবং অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আনফা) সহ-সভাপতি বিরাট জংশাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল ফুটবলের সম্পর্ক ৫ বা ১০ বছরের নয়। আমি যখন ফুটবল খেলতাম তখন আমাদের প্রতিপক্ষ ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তী ফুটবলার বর্তমান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন এবং প্রয়াত বাদল রায়। ঐ সময় কৃষ্ণ থাপা ও জিবন লামা আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছে।

বিরাট জংশাই বলেন, আমরা বাংলাদেশে গিয়েও খেলেছি। ১৯৮৫ সালে আমি বাংলাদেশে ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলেছি। সেই সুবাদে বাংলাদেশের অনেক ফুটবল খেলোয়াড়ের সঙ্গে রয়েছে আমাদের ঘনিষ্ঠতা। এখনো পর্যন্ত সেই বন্ধন অটুট আছে।

সেই সময়ের কিংবদন্তিরাই এখন দুই দেশের ফুটবলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি এখন আনফার সহ-সভাপতি এবং সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি। তিনি অবশ্য আমার সিনিয়র। এখনো আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। যে কারণে নেপালের জাতীয় দল ও বাংলাদেশের জাতীয় দলের মধ্যে প্রচুর ম্যাচ হয়েছে।

নেপালের এই কিংবদন্তি ফুটবলার বলেন, দুই দেশ এ পর্যন্ত ২৩টি ম্যাচ খেলেছে। আমরা ৭টিতে জয়লাভ করেছি আর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১৩টি ম্যাচে। ফিফা প্রীতি ম্যাচে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ফের পরস্পরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি আমরা। ভালো বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবেই এই ম্যাচের আয়োজন। অবশ্য এই ম্যাচের মাধ্যমে দুই দেশই চায় নিজেদের র‍্যাংকিং এগিয়ে নিতে। যে কারণে প্রায় দুইমাস ধরে আমাদের অনুশীলন চলছে।

বন্ধুত্ব থাকলেও ময়দানি লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ছাড় দিতে রাজি নয় নেপালিরা। এই আনফা কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে আমরা জয়লাভ করতে চাই। এতে আমাদের র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি হবে। আমাদের দলে এই মুহূর্তে দারুন ফর্মে আছেন অধিনায়ক (গোল রক্ষক) কিরণ চন্দ্র, অ্যাটাকিং ডিফেন্ডার রোহিত সান, বিমল, অঞ্জনসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। দলে নতুন দুইজন খেলোয়াড় সম্প্রতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তারাও দারুণ ফর্মে আছেন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচেও গ্যালারি পরিপূর্ণ থাকবে বলে আশা করছেন জংসাই। তার ভাষ্যমতে, ফুটবল এই মুহূর্তে নেপালের এক নম্বর খেলা। এরই মধ্যে প্রীতি ম্যাচের টিকিটের মূল্য (ভিআইপি এক হাজার টাকা এবং গ্যালারি পাঁচশ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রিও।

সূত্র: বাসস

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী