বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাচার হওয়া তরুণীর উদ্ধারের আকুতি

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২২ ০০ ১২ ০১  

পাচার-হওয়া-তরুণীর-উদ্ধারের-আকুতি

পাচার-হওয়া-তরুণীর-উদ্ধারের-আকুতি

হবিগঞ্জের মাধবপুরের কমলপুর গ্রামের ইয়াসমিন বেগম দালালের খপ্পরে পড়ে জাল জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি করেন। পরে পাচারকারীরা তাকে সৌদি আরবে পাঠান।

সৌদি আরবে যাওয়ার পর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন শুরু হয়। ইয়াসমিন বেগম এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাঁচার আকুতি জানিয়ে স্বজনদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।

এ বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, আমাকে উদ্ধার করেন, আমি অত্যাচার সহ্য করতে পারছিনা। আমারে যেভাবে পারেন উদ্ধার করেন।

এমন বার্তা পেয়ে ইয়াসমিনের বাব-মা বিষয়টি পাচারকারীদের জানান। এতে পাচারকারীরা উল্টো তাদের হুমকি দিচ্ছেন।

জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইয়াসমিনকে গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে সৌদি আরবের রিয়াদে পাঠায় ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সি। তিনদিন আগে ইয়াসমিনে রিয়াদ থেকে ইমোতে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে নির্যাতনের কথা জানান। এরপর ইয়াসমিনের বাবা কুদ্দুছ মিয়া যোগাযোগ করেন সৌদি আরবে পাঠানো চুনারুঘাট উপজেলার আমতলী গ্রামের দালাল কাশেম মিয়ার সঙ্গে। কিন্তু কাশেম মিয়া তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

ইয়াসমিনের বাবা কুদ্দুছ মিয়া জানান, কাশেমের কাছে তার মেয়েকে ফেরত আনার কথা বললে তিনি দুর্ব্যবহার করেছেন।

কাশেম মিয়া জানান, ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে তিনি ইয়াসমিনকে গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে সৌদিতে পাঠিয়েছিলেন। অনেক লোককে এভাবে বিদেশে পাঠালেও কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। 

মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান, এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত স্থানীয় দালাল কাশেমকে মঙ্গলবার তার অফিসে ডেকে এনেছিলেন। পরে কাশেম স্বীকার করেছেন যে, তার মাধ্যমে ইয়াসমিন সৌদিতে গিয়েছেন। কাশেমকে সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে মেয়েটিকে ফেরত নিয়ে আসতে। মেয়েটিকে ফেরত না আনলে কাশেমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী