শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরীমনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২ ১১ ১১ ০২  

পরীমনির-বিরুদ্ধে-সাক্ষ্যগ্রহণ-আজ

পরীমনির-বিরুদ্ধে-সাক্ষ্যগ্রহণ-আজ

রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য রয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গত ১৯ জুলাই এ মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি হাজিরা দেন। এ সময় এ মামলার বাদী মজিবুর রহমানকে পুনরায় জেরা করার জন্য আবেদন করেন পরীমনির আইনজীবী। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

এছাড়া এ মামলার সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৫ আগস্ট দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১২ মে পরীমনির আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত ২ জুন আদালত পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করেন।

২০২১ সালের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৫ আগস্ট র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমনিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এই মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী