মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুইজনের প্রেমে কেনো পড়ে মানুষ?

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২২ ১৪ ০২ ০২  

দুইজনের-প্রেমে-কেনো-পড়ে-মানুষ

দুইজনের-প্রেমে-কেনো-পড়ে-মানুষ

দুইজনকে ভালোবাসা সমাজের চোখে বড় অনাচার। প্রেম মানেই নাকি মনের দুয়ারে একজনই দাঁড়িয়ে। আধিপত্যও একজনের। একাধিক ব্যক্তি মনে ঠাঁই পেলেই সামাজের চোখরাঙানি, হাজারো জবাবদিহি, চরিত্র নিয়ে কাটাছেঁড়া।

দেশ-বিদশের নানা সমীক্ষা বলছে, বেশির ভাগ মানুষের মনেই দুইজনের প্রতি টান থাকে। সেই টানে কেউ কেউ সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ান, কেউ বা সমাজের ভয়ে ওখানেই থেমে যান। কিন্তু কেন এমন হয়? কী বলছে মনোবিজ্ঞান?

মনোবিজ্ঞানের মতে, প্রত্যেক মানুষের বৈশিষ্ট্য আলাদা। এক জন মানুষের মধ্যে সবটুকু পছন্দের বৈশিষ্ট্য যে মিলবেই, এমন নয়। তাই ভালো লাগার কোনো গুণ বা স্বভাব থেকে প্রেম বা ভালবাসার অনুভূতি দুই জনের প্রতিই জন্মাতে পারে। পিটুইটারি গ্রন্থি ও ফিল গুড হরমোনরাই এর জন্য দায়ী।

এ প্রসঙ্গে মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জন্মের শুরু থেকেই এক সঙ্গে দুই জনকে অর্থাৎ মা-বাবাকে ভালোবাসে মানুষ। কাজেই একসঙ্গে দুইজনকে ভালোবাসার ক্ষমতা তার জন্মগত। কিন্তু যখনই সম্পর্ক বা দাম্পত্যের কথা আসে, তখনই আমরা সতর্ক হয়ে যাই।’

মনোবিদের মতে, ‘আসলে সমাজ এই সব সম্পর্ককে বাঁধে সামাজিক ও আর্থিক সুবিধা বুঝে। এই সব জটিলতা এড়াতেই সে নিজস্ব কিছু নিয়ম চালু করে ও সেখানে যৌনতাকেও স্থান দেয়। তবে মনে রাখা দরকার, সম্পর্ক কিন্তু মোটেও শরীরসর্বস্ব নয়।’

এ মনোবিদের মতে, কেউ দুইজনকেই ভালোবাসি বললে, তাকে ‘মিথ্যা’ বলে ধরে নেয়ার প্রবণতা আমাদের রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে সেখানে। কিন্তু অনেকেই দায়-দায়িত্ব দুইজনের ক্ষেত্রেই পালন করেন। এখানে অবশ্যই সঙ্গের মানুষদের অভিমান বা কষ্টের বিষয়টি আলাদা প্রসঙ্গ। কিন্তু কেউ দুইজনকে ভালোবাসার দাবি করলে তা মিথ্যে নয়।

বিভিন্ন মাপকাঠিতে মাপতে গেলে সমস্যা যেন আরো বেড়ে যায়। এক জনের সঙ্গে গল্পে মশগুল থাকা আপনার পছন্দের, তো আর একজনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত। এমন পর্যায়ও তৈরি হতেই পারে। কিছু ভালোবাসা হয় ঘরের মতো, যেখানে নিজের মতো করে শ্বাস নেয়া যায়, মুক্তির স্বাদ আসে। আবার কিছু ভালোবাসা হয় সপ্তাহান্তে একবার দেখা পাওয়ার উল্লাসের মতো। আপনার প্রায়োরিটি লিস্টে কোনটা এগিয়ে, এবার সেটা আপনাকেই বিচার করতে হবে। 

সূত্র: আনন্দবাজার
 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী