সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দরকার হবে না একটি সেফটিপিনিও! শাড়ি পরার এই নিয়ম জেনে নিন

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫ ০৩ ০১  

দরকার-হবে-না-একটি-সেফটিপিনিও-শাড়ি-পরার-এই-নিয়ম-জেনে-নিন

দরকার-হবে-না-একটি-সেফটিপিনিও-শাড়ি-পরার-এই-নিয়ম-জেনে-নিন

বাঙালি নারী শাড়িতেই বেশি সুন্দর। হঠাৎ-হঠাৎ শাড়ি পরতে গেলে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় শাড়ি ঠিক রাখা। তখন ভরসা করতে হয় গাদা গাদা সেফটিপিনের উপর।

কিন্তু আমরা বলছি, এমন কিছু কৌশল যদি আপনি জেনে রাখতে পারেন, তাহলে সেফটিপিনের সাহায্য ছাড়াই আপনি শাড়ি পরতে পারবেন। শাড়ি পরতে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে আপনাকে। এবার জেনে নিন তা কীভাবে সম্ভব?

শাড়ি পরার সময়ে শুধুই শাড়ির দিকে নজর দিলে হবে না। বরং আরো অন্যান্য দিকেও নজর দিতে হবে। যেমন আপনাকে সঠিক ব্লাউজ বেছে নিতে হবে। কীভাবে বুঝবেন সঠিক ব্লাউজ কোনটি? সেজন্য খেয়াল রাখুন এই কয়েকটি দিকে। প্রথমেই ব্লাউজের ফিটিংস বুঝে নিন। খুব টাইট ব্লাউজ যেমন আপনি পরবেন না। আবার খুব ঢিলা ব্লাউজও এড়িয়ে যাবেন।

শাড়ির সঙ্গে খুব টাইট ব্লাউজ পরলে আপনার সাজটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। যদি ঢিলা ব্লাউজ পরেন, তাহলে আপনার ফিগার সঠিকভাবে কমপ্লিমেন্ট পায় না। 

ঘের দেওয়া পেটিকোট এড়িয়ে চলুনলক্ষ্য রাখুন এদিকে
আপনি যদি সেফটিপিন ব্যবহার না করে শাড়ি পরতে চান, তাহলে সঠিক পেটিকোটটা বেছে নিতেই হবে। নাহলেই কিন্তু সাজ মাটি হবে। শাড়ি পরার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এটি। শাড়ির সঙ্গে অতিরিক্ত ঘের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়, তাহলে অধিক ঘের দেওয়া পেটিকোট এড়িয়ে চলুন।

বডিশেপার ব্যবহারের চেষ্টা করুন। বডিশেপারে আপনার কার্ভ ঠিকভাবে বোঝা যায়। এছাড়াও সিল্কের শাড়ির সঙ্গে সিল্কের পেটিকোট পরার চেষ্টা করুন। আর সুতির শাড়ির সঙ্গে সুতির পেটিকোট পরুন।

কুঁচিতে কত সেফটিপিন লাগাবেন?

কোমরে কুঁচি করার সময় একগাদা সেফটিপিন লাগাবেন না। বরং আপনি যদি এটা জানেন যে, কোমরের কোথায় ঠিক কুঁচিটা করা উচিত, তাহলে আপনার বেশি সেফটিপিনের প্রয়োজন হবে না।

খুব নিচু করেও শাড়ি পরবেন না। আবার খুব উঁচু করেও শাড়ি পরবেন না। নাভির নীচে শাড়ি পরা উচিত নয়। আবার একদম বুকের নিচেও পরা উচিত নয়। নাভির ঠিক উপরেই শাড়ির কুঁচি করার সঠিক স্থান। তাই ওখানেই শাড়ির কুঁচি গুঁজে নিন।

এই ভুল করলে তো সেফটিপিন লাগবেই!

এমন করে আপনাকে শাড়ি পরতে হবে, যাতে আপনার গোড়ালি ঢাকা পড়ে। আবার রাস্তাতেও শাড়ি না লুটোয়। শাড়ি যেন আপনার গোড়ালি থেকে উপরে না উঠে যায়। আপনি যে জুতা পরে শাড়ি পরবেন, সেই জুতা পরে নিন। তার সঙ্গে শাড়ির ঝুলটি ম্যাচ করে নিতে হবে। তারপর জুতা খুলে শাড়ি পরুন। এতে বুঝতে সুবিধা হবে।

আঁচল করার সময়েও খেয়াল রাখুন। অনেক লম্বা আঁচল করবেন না। এতে আপনার লুক নষ্ট হয়। আবার ছোট আঁচলে কিন্ত আপনাকে বেঁটে দেখাতে পারে।  আপনি যদি শাড়ি পরার এই সব কটি নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন, তাহলে সব সময় আপনার একগাদা সেফটিপিন প্রয়োজন হবে না। সঠিক পেটিকোট ও সঠিক ব্লাউজ পরলে সেখানে আপনাকে অতিরিক্ত সেফটিপিন লাগাতে হবে না।

শাড়ির আঁচল যদি আপনি একদম টাইট ও ঠিক ঝুলে করতে পারেন, তাহলে সেখানেও সেফটিপিন প্রয়োজন হবে না। এই কথা ঠিক যে, যখন প্রথম শাড়ি পরা শুরু হয়, তখন কিন্তু এই সেফটিপিনের ব্যবহার হত না। তবে সম্পূর্ণ শাড়িতে যদি একটাও সেফটিপিন না ব্যবহার করেন, আঁচল ঠিক রাখার জন্য একটি সেফটিপিন আপনি লাগিয়ে নিতে পারেন। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করার জন্য প্রয়োজন হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী