সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টনসিলের অপারেশনে কাটা গেল শ্বাসনালি, যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১৫ ০৩ ০১  

টনসিলের-অপারেশনে-কাটা-গেল-শ্বাসনালি-যুবকের-মৃত্যু

টনসিলের-অপারেশনে-কাটা-গেল-শ্বাসনালি-যুবকের-মৃত্যু

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় টনসিলের অপারেশন করতে গিয়ে শ্বাসনালি কেটে ফেলায় আলমগীর হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ পপুলার ডিজিটাল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার ওসি এএফএম নাসিম।

মৃত যুবক কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভখা নামাপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন আনারের ছেলে।

ওসি বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে আমরা ঐ এলাকায় গিয়ে দেখি লাশ নিয়ে এলাকাবাসি বিক্ষোভ করছেন। এ সময় এলাকাবাসীর কাছ থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মৃতের চাচাতো ভাই জাকির হোসেন বলেন, দুবাই ফেরত আলমগীর হোসেন শুক্রবার (১৪ অক্টোবর)  টনসিল অপারেশনের জন্য ঐ হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার সময় হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় পর তার স্বজনরা জানতে পারেন ডাক্তার অপারেশনের সময় ভুল বশত শ্বাসনালি কেটে ফেলে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ সময় নানাভাবে চেষ্টা করেও রক্তক্ষরণ পুরোপুরি বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে আলমগীরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন, আলমগীর হোসেনের ৩ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে এবং তার স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরে কাপাসিয়া থানা পুলিশ মৃতের বাড়ি থেকে আলমগীরের লাশ থানায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে আমরাইদ পপুলার ডিজিটাল হাসপাতালের মালিক আবুল হোসেন জানান, তিনি কোনো ডাক্তার নন। অস্ত্রোপচার করেছেন নাক, কান ও গলা বিষয়ের ডাক্তার। তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জেনে নেন।

এ নিয়ে অস্ত্রোপাচারকারী ডাক্তার এটিএম ফয়সালের ব্যবহৃত মুঠো ফোনে করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান জানান, তিনি দুপুর আড়াইটার দিকে বিষয়টি জেনেছেন। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী