বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জমে উঠেছে ভারত-শ্রীলংকা লড়াই

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩ ১১ ০১  

জমে-উঠেছে-ভারত-শ্রীলংকা-লড়াই

জমে-উঠেছে-ভারত-শ্রীলংকা-লড়াই

এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিতের লক্ষ্যে ভারতের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছে শ্রীলংকা। যেখানে দুই ওপেনারের আক্রমণে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল লংকানরা। দ্রুত উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছে ভারতও। এমতাবস্থায় জমে উঠেছে দুই দলের লড়াই।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলংকার সংগ্রহ ১৩ ওভারে দুই উইকেটে ১০২ রান।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে ভারত। শ্রীলংকার হয়ে রান তাড়া করতে নামেন কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাংকা।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন মেন্ডিস-নিশাংকা। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে দুজনে যোগ করেন ৫৭ রান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৫৭ রান। এরই মাঝে অর্ধশতক পূরণ করেন নিশাংকা।

ম্যাচ যখন শ্রীলংকার হাতের মুঠোয়, এমন সময়ে জোড়া আঘাত হানেন যুবেন্দ্র চাহাল। একই ওভারে তিনি ফেরান নিশাংকা ও চারিথ আসালাঙ্কাকে। সাজঘরে ফেরার আগে নিশাংকা ৫২ রান করলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি আসালাঙ্কা।

একই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছে শ্রীলংকা। মেন্ডিসের সঙ্গে দানুশকা গুনাথিলাকা দলকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছেন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলংকা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ভারত এই ম্যাচ হারলে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাবে। অন্যদিকে শ্রীলংকা জিতলে তাদের ফাইনাল খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হবে। এমন ম্যাচে ভারতের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে রোহিত শর্মার সঙ্গে নামেন কেএল রাহুল। 

এ ম্যাচেও অফ ফর্ম থেকে বেরোতে পারেননি রাহুল। মহেশ থিকসানার প্রথম ওভারেই লেগ বিফোরের শিকার হন তিনি। এর আগে করেন ৬ রান। শেষ ৩ ম্যাচেই টানা রান করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু এদিন তাকে রানের খাতাই খুলতে দেননি দিলশান মাধুশানাকা।

৪ বল খেলে ডাক মারেন কোহলি। শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়েন রোহিত। ত্রয়োদশ ওভারে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ৯৭ রান যোগ করেন তারা। এ সময় ৪১ বলে ৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রোহিত।

সূর্যকুমার এদিন ৩৪ রান করে আউট হন। হার্দিক পান্ডিয়াও ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। দুজনকেই সাজঘরে ফেরান লংকান অধিনায়ক শানাকা। দীপক হুদাকেও প্রথম বলেই আউট করেছিলেন তিনি। তবে ওভারে অতিরিক্ত বাউন্স দেওয়ায় সেটি নো বল হয়। 

অবশ্য জীবন পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি হুদা। মাত্র ৩ রান করে মাধুশানাকার বলে বোল্ড হন তিনি। একই ওভারে ১৭ রান করা রিশাভ পান্টকেও ফেরান এই পেসার।

শেষদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ১৫ রানের ক্যামিওতে ভারতের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত হয়। শ্রীলংকার হয়ে মাধুশানাকা তিনটি, চামিকা করুণারত্নে ও শানাকা দুটি এবং মহেশ থিকসানা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী