শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চেনার উপায়

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২২ ১৯ ০৭ ০১  

কৃত্রিমভাবে-পাকানো-আম-চেনার-উপায়

কৃত্রিমভাবে-পাকানো-আম-চেনার-উপায়

আসছে মধুমাস। এরইমধ্যে বাজারে এসেছে কাঁচা আম। পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই দেখা মিলছে পাকা আমের। যদিও পাকা আম বাজারে আসার সময় এখনো হয়নি। বাজারে বর্তমানে যে সব পাকা আম দেখা যাচ্ছে তা কৃত্রিমভাবে পাকানো, অপরিপক্ক আম। অতিরিক্ত লাভের আশায় বেশি দামে বিক্রির জন্য কৃত্রিমভাবে এসব আম পাকানো হচ্ছে।  

কৃত্রিমভাবে পাকানো এসব আম খেলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এর কারণ হলো আম কৃত্রিমভাবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড নামক রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো হয়। যা একটি কার্সিনোজেন (ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থ)।

সব ধরনের ফল পাকার নির্দিষ্ট একটি সময় থাকে। কিন্তু বেশি লাভে বিক্রির আশায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা রাসায়নিক ব্যবহার করে ফল পাকান। ইথানল হলো ফল পাকানোর প্রধান রাসায়নিক। ফল বিক্রেতারা সাধারণত কাঁচা অবস্থাতেই ফল কেনেন ও পরে তা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করেন। তবে এ সময়ের মধ্যে অনেক ব্যবসায়ীরা আবার রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে ফল পাকান। ঠিক একইভাবে সময়ের আগে আমও পাকানো হয়।

আসল পাকা আমের চেয়ে ফরমালিনে পাকানো আম দেখতে বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়। আর বেশিরভাগ মানুষই আকর্ষণীয় আমগুলোই কেনেন। তবে জেনে নিন কৃত্রিমভাবে পাকানো আম এবং আসল পাকা আম চেনার কৌশল-

১. কৃত্রিমভাবে পাকা আমের গায়ে সবুজ ছোপ থাকে। এই প্যাচগুলো হলুদ থেকে স্পষ্টভাবে আলাদা করা যায়।

অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের গায়ে হলুদ ও সবুজ রঙের সমান মিশেল থাকে। প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের চেয়ে আবার কৃত্রিমভাবে পাকা আম বেশি উজ্জ্বল হলুদ রঙের হয়।

২. কৃত্রিমভাবে পাকা আম খাওয়ার সময় মুখে হালকা জ্বালা অনুভব হয়। এমন আম খাওয়ার পরে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এমনকি গলায় জ্বালাপোড়ার মতো গুরুতর প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

৩. প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম কাটলে দেখা যায় আমের পাল্পের রং উজ্জ্বল লাল-হলুদ। তবে কৃত্রিমভাবে পাকা আমের ক্ষেত্রে এটি হালকা ও গাঢ় হলুদ। এমন রঙ বলে দেয় যে সেটি পুরোপুরিভাবে পাকেনি।

৪. প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম অনেক রসালো ও মিষ্টি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে কৃত্রিমভাবে পাকা আমের ক্ষেত্রে রস ও মিষ্টিভাব দুটোই কম থাকে।

কৃত্রিমভাবে পাকা আম খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে

শরণ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ডা. নন্দিতা শাহের মতে, রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে পাকানো আম খেলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েড, পিসিওএস, ডায়াবেটিস ইত্যাদির মতো হরমোনজনিত রোগের সংখ্যা বাড়ায় সেসব রাসায়নিক। এমনকি পারকিনসন ও ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ায়।

তিনি আরো বলেন, যে কোনো ফল কেনার পর তা ঘণ্টাখানেক পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিন। আমের ক্ষেত্রে অবশ্যই খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে। তবে আম খাওয়ার সময় মুখে জ্বলা অনুভব করলে তা খাবেন না। আর অবশ্যই সঠিক মৌসুমেই আম খান।

সূত্র: হেলথসাইট ডটকম

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী