কাতার বিশ্বকাপের আদলে পূজা মণ্ডপ

রাজশাহীতে প্রতিবছরই ভিন্নধর্মী থিম নিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে থাকে আয়োজকরা। আয়োজকদের মধ্যে ‘টাইগার সংঘ’ প্রতিবারই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। এবারো আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের ট্রফির আদলে মণ্ডপ সাজিয়ে তাক লাগাতে যাচ্ছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার টাইগার সংঘের ৪০তম পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর করোনার সচেতনতায় করোনা ও মাস্ক দিয়ে থিম করা হয়েছিল। এর আগে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুকে স্মরণ করে রুপালি গিটারে সেজেছিল মণ্ডপ। এছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বাহুবলী, ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখের অবয়ব দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করে প্রশংসা কুড়ায় ‘টাইগার সংঘ’। এবার টাইগার সংঘের পূজামণ্ডপটি সাজানো হয়েছে দুইভাবে। প্রতিমা ও মঞ্চ উভয়ই পৃথক অর্থ বুঝাবে।

রাজশাহী নগরের রাণীবাজার মোড় এলাকায় টাইগার সংঘ পূজার মণ্ডপটি গড়ছেন কাতার বিশ্বকাপের আদলে। মণ্ডপটি ২৬ ফুটের একটি বিশ্বকাপ ট্রফির আদলে নির্মাণ হচ্ছে। সঙ্গে থাকবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের পতাকা। বিশ্বের ৩২টি দেশের পতাকা থাকলেও ঠিক মাঝখানে থাকবে বাংলাদেশের পতাকা। পাশেই থাকবে একতাবদ্ধের প্রতীক।

টাইগার সংঘের সাধারণ সম্পাদক পার্থ পাল চৌধুরী বলেন, বরাবরই শারদীয় দুর্গোৎসবে নতুন আর ব্যতিক্রমী সাজে মণ্ডপ সাজিয়ে থাকে টাইগার সংঘ। এবার আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনার কথা মাথায় রেখে ২৬ ফুটের একটি ট্রফি ও বিভিন্ন দেশের পতাকা এবং বিশ্বকাপ লোগো দিয়েই থিম করা হচ্ছে। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের ইভেন্ট পয়েন্টগুলো দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর চেষ্টা করা হবে। প্যান্ডেলের রঙও হবে ফিফার অফিসিয়াল চারটি রঙে।

তিনি আরো বলেন, থিমের সাইজ হবে ৪২ ফুট ও ৩০ ফুট। মূল ট্রফিটি হবে ২৬ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া। এটি ৪০ ফিট করার কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রযুক্তি না থাকায় কমিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া ৩২টি দেশের পতাকাও থাকবে। আমাদের প্রতিমাও এবার রাজশাহীর মধ্যে সবচেয়ে বড় হবে। এটি লম্বায় হবে ১২ ফুট। প্রতিমা বসানোর স্থানটিও বিশ্বকাপ ট্রফির আদলে বানানো হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার বলেন, এবার দুর্গোৎসবে রাজশাহীতে ৪৫০টি মণ্ডপের আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে জেলায় ৯টি, উপজেলায় ৩৭৪টি ও মহানগরীতে ৭৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

গত দুই বছর করোনার প্রকোপের কারণে কিছুটা সীমিত আকারে পূজা উদযাপন করতে হয়েছে। তবে এবার পরিবেশ ভালো হওয়ায় অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশেই পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান শ্যামল কুমার।