মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এক ক্ষেতে তিন রঙের তরমুজ

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২২ ১৭ ০৫ ০২  

এক-ক্ষেতে-তিন-রঙের-তরমুজ

এক-ক্ষেতে-তিন-রঙের-তরমুজ

ভোলার চরফ্যাশনে এক ক্ষেতে তিন রঙের তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন আকতার হোসেন নামে এক কৃষক। উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের হালিমাবাদ গ্রামে ৮ শতাংশ জমিতে এ তরমুজ চাষ শুরু করেন তিনি। 

দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চরফ্যাশন তথা ভোলা জেলায় তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতিতে বারোমাসি এ তরমুজ চাষ শুরু করেই পেয়েছেন সফলতা। কৃষক আকতার হোসেনের ক্ষেতে রয়েছে  সবুজ, কালো ও হলুদ রঙের তরমুজ। এসব তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমনি সুস্বাদু।

জানা যায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় ইউনাইটেড নামে একটি কোম্পানি থেকে উচ্চ ফলনশীল বারোমাসি তরমুজের বীজ সংগ্রহ করেন কৃষক আকতার হোসেন। মূলত কৃষি অফিস থেকে এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় হাইব্রিড জাতের এ তরমুজের প্রাথমিকভাবে প্রদর্শনী দেওয়া হয় কৃষক আকতার হোসেনকে। কৃষি অফিসের দেয়া প্রদশর্নীতেই বাজিমাত করেছেন তিনি।

কৃষক আকতার হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে মালচিং পদ্ধতিতে জৈষ্ঠ্যে মাসের মাঝামাঝি ৮ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করি। প্রথমে বীজ রোপণ করতে হয়েছে, এরপর সেগুলো চারাতে রূপান্তরিত হওয়ার পর ১২০টি ট্রেতে ৩৫০টি রোপণ করি। এসব চারা রোপণের ৬০-৬৫ দিনের মধ্যেই তরমুজ বিক্রির উপযোগী হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৩ কেজি। সামনে আরো বড় পরিসরে এ তরমুজ চাষের পরিকল্পনা রয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওমর ফারুক বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে ভিন্ন জাতের এ তরমুজ চাষাবাদে অল্প খরচে ও কম সময়ে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আর বাজারে এসব তরমুজের ভালো দাম পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা করলে যে কেউ এ তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবে। আরো কেউ যদি এ তরমুজ চাষ করতে চায়, তাহলে তাদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী