মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠে যে কারণে সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২২ ১৯ ০৭ ০১  

ইন্দোনেশিয়ায়-ফুটবল-মাঠে-যে-কারণে-সংঘর্ষ

ইন্দোনেশিয়ায়-ফুটবল-মাঠে-যে-কারণে-সংঘর্ষ

ইন্দোনেশিয়ায় একটি ঘরোয়া ফুটবল ম্যাচ হারাকে কেন্দ্র করে  দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে পদদলিত হওয়ার ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১৮০ জন। 

এ ঘটনাকে কোনো স্টেডিয়ামের ভেতরে ঘটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলা হচ্ছে। ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে ইন্দোনেশীয় সরকার। এমন ভয়াবহ ট্রাজেডি কেন ঘটলো সে বিষয়ে যথাযথ তদন্ত এবং এতে ভুক্তভোগীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি।

শনিবার স্থানীয় সময় রাতে দর্শক ভর্তি মালাঙ্গার পূর্ব জাভার কানজুরুহান স্টেডিয়ামে ঘরোয়া ফুটবল দল আরেমা এফসি পরাজিত হয়। এরপরই স্টেডিয়ামে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো মাঠে।

ইন্দোনেশিয়ায় আগামী বছরের মে ও জুন মাসে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন করার কথা রয়েছে। ঠিক তার আগেই দেশটির পূর্বাঞ্চলের মালাং শহরে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই পক্ষের এমন সংঘর্ষ ঘটলো। 

যে কারণে এ ঘটনা:

এ ঘটনাকে দাঙ্গা বলে উল্লেখ করে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, মালাং শহরের কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে ওই ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়া নামের দুটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যে খেলা  হয়। খেলায় আরেমাকে ৩-২ গোলে হারায় পেরসেবায়া। দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে পেরসেবায়ার কাছে এই প্রথম কোনো ম্যাচে হেরে যায় আরেমা। কিন্তু তাদের সে হার মেনে নেননি কেউই।

এ নিয়ে স্টেডিয়ামে থাকা আরেমার দর্শকরা মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। তাদের থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে দর্শকরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়াহুড়ি করে দৌড়াতে থাকেন। তখন পদদলিত হয়ে নিহত হন অনেকে।

এক বিবৃতিতে পূর্ব জাভা পুলিশের প্রধান নিকো আফিন্তা বলেন, ‘ নিহতদের মধ্যে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। স্টেডিয়ামের ভেতরে ৩২ জন মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর অন্যদের মৃত্যু হয়।’

এ ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া ও যুবমন্ত্রী জাইনুদিন আমালি বলেছেন, ‘দুঃখজনক এ ঘটনা এমন সময়ে ঘটলো, যখন ফুটবলপ্রেমীরা স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।‘সূত্র : রয়টার্স, ব্লুমবার্গ।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী