বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমাকে ‘মহিলা কোচ’ বলে ঠাট্টা করা হতো: ছোটন

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪ ০২ ০১  

আমাকে-মহিলা-কোচ-বলে-ঠাট্টা-করা-হতো-ছোটন

আমাকে-মহিলা-কোচ-বলে-ঠাট্টা-করা-হতো-ছোটন

প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তাদের গুরু গোলাম রব্বানি ছোটন এ স্বপ্ন দেখতেন। তা পূরণ হয়েছে। জানালেন মেয়েদের নিয়ে কাজ করার কিছু অভিজ্ঞতা।  জানালেন তাকে ‘মহিলা কোচ’ বলে ঠাট্টা করা হতোও।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের নারী দলের হেড কোচ বলেন, আমরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। এখন আমরা দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। (মেয়েরা) নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে।

মেয়েদের ফুটবলে শুরু থেকেই দলের সঙ্গে আছেন গোলাম রব্বানি। ২০০৯ সাল থেকে আছেন নারী দলের কোচ হিসেবে। শুরুতে সবাই তাকে তাচ্ছিল্য করতেন। দেখা হলে উপহাস করতেন। 

সাফের ট্রফি জয়ের পর সে সব দিনের কথা মনে করে তিনি বলছিলেন, যখন আমি কোচিং শুরু করি তখন আমার বন্ধুরা বলতো ওই যে মহিলা কোচ যাচ্ছে। রাস্তায় যখন হেটে যেতাম আমাকে দেখে হাসাহাসি করতো। ঠাট্টা করতো আমাকে নিয়ে।

তিনিই আজ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ। পরিশ্রমের পুরষ্কার পেয়েছেন, এমনই মনে হচ্ছে তার কাছে, ‘আমার কাছে কখনোই মনে হয়নি যে আমি কোনো নিচু কাজ করছি। আমি কাজকেই পছন্দ করতাম। আজকের যে অবস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের নিয়ে, সেটা অবশ্যই ভালো লাগার কথা। আমার এতদিনের পরিশ্রম সফল হয়েছে বলব’।

বাংলাদেশের মেয়েদের এই বদলে যাওয়ার শুরু কবে থেকে—এই প্রশ্নের উত্তরে গোলাম রব্বানি ছয় বছর পেছনে ফিরে যান, ‘রূপান্তরের শুরুটা ২০১৬ সাল থেকে, যখন আমরা থাইল্যান্ডে অনূর্ধ্ব–১৬ টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলাম...আমরা ২০১৬ সালের অক্টোবরেই অনুশীলন শুরু করি। পরের চার–পাঁচ বছর মেয়েরা বেশ কিছু বয়সভিত্তিক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়’।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী