শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ নেতা খুন, হত্যাকারী স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮ ০৬ ০২  

আওয়ামী-লীগ-নেতা-খুন-হত্যাকারী-স্কুলছাত্রের-আত্মহত্যা

আওয়ামী-লীগ-নেতা-খুন-হত্যাকারী-স্কুলছাত্রের-আত্মহত্যা

চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মো. রফিক উল্লাহ (৭০) হত্যাকাণ্ডে জড়িত দশম শ্রেণির ছাত্র অমিত দাস (১৬) ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্যহত্যা করেছে। পুলিশ বলছে, ঘটনার দিন রাতেই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে অমিত।

নিহত অমিত চাঁদপুর শহরের গনি মডেল আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অমিতের পিতার নাম গৌতম দাস। সে শহরের পুরানবাজার দাস পাড়ার গনেশ দাসের বাড়িতে বসবাস করতো। 

চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রের লাশের ডিএনএ পরীক্ষা করার পর অধিক নিশ্চিত হওয়া যাবে, সে’ই মো. রফিক উল্লাহকে হত্যা করেছে কিনা। তবে অমিত দাস কী কারণে রফিক উল্লাহকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এ বিষয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

রফিক উল্লাহ হত্যার ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় নিহতের ভাতিজা তন্ময় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে আত্মহত্যা করা ছাত্রের প্রথমে পরিচয় না পাওয়ায় চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-৬।

পুলিশ আরো জানায়, অমিতের সঙ্গে রফিক উল্লাহর সখ্যতা ছিল। সে প্রায়ই রফিকের বাসায় আসা যাওয়া করতো। ঘটনার একদিন পূর্বেও সে তার বাসায় এসেছিল এবং ঘটনার দিনও সে ওই বাসায় গিয়েছিল বলে ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়। ঘটনার পর সে ওই বাসা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতেও ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।

চাঁদপুর মডেল থানার (ওসি তদন্তকারী) সুজন কান্তি বড়ুয়া জানান, ভিডিও ফুটেজ, আত্মহত্যাকারী যুবকের জুতা, প্যান্ট, শরীরে পরিহিত কালো গেঞ্জি, তার পিতা-মাতার চিহ্নিত করা ও নিহত রফিক উল্লাহর মোবাইল থেকে পাওয়া কললিস্ট অনুযায়ী মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছি এ হত্যাকাণ্ডে অমিত জড়িত।

তিনি আরো জানান, এখন তার লাশের ডিএনএ করার পর আমরা শতভাগ নিশ্চিত হতে পারবো রফিক উল্লাহ হত্যায় অমিত জড়িত ছিল কিনা।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দূল রশিদ জানান, আত্মহত্যা করা অমিত যে হত্যাকারী তা নিশ্চিত। ডিএনএ টেস্ট করলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দৈহিক গড়ন চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, সে হত্যা করার পর নতুনবাজার এলাকা থেকে পালিয়ে আসে। পরে আল-আমিন হাসপাতাল এলাকা দিয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করে।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উল্লাহ গত শনিবার সন্ধ্যায় শহরের নতুন বাজার সফিনা আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলায় ছুরিকাঘাতে খুন হন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী