সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফিসে কখন গসিপের শিকার হতে পারেন?

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬ ০৪ ০১  

অফিসে-কখন-গসিপের-শিকার-হতে-পারেন

অফিসে-কখন-গসিপের-শিকার-হতে-পারেন

অফিসে একসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান সহকর্মীর সঙ্গে। সেই সময়ে একে অপরের কাছে আসা ও একে অপরের প্রতি অনুভূতি তৈরি হওয়া খুব অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কর্মক্ষেত্রে একজন ভালো বন্ধু থাকাও প্রয়োজন। কিন্তু যদি আপনাদের সম্পর্ক একটু অন্যদিকে মোড় নেয়, তাহলেই কিন্তু আপনারাই বাকিদের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারেন।

অর্থাৎ আপনাদের নিয়েই গসিপ হতে থাকবে। যা আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আপনি যদি অফিসে কারো প্রেমে পড়েন এবং তার সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করার কথা ভাবেন, তাহলে কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যাতে অফিসেও আপনার পজিশন ঠিক থাকে। আর আপনার সম্পর্কও ঠিক থাকবে।

সঙ্গে সঙ্গেই সবাইকে জানানোর প্রয়োজন নেই

যখন আপনি কারো প্রেমে পড়েছেন, আপনি হয়তো নিজেই এখনো বুঝতে পারছেন না। এখনো দ্বন্দ্বে আছেন নিজের অনুভূতির বিষয়ে। তখন আপনার সহকর্মীর সঙ্গে ‘নতুন সম্পর্কের’কথা বাকি সবাইকে এখনই জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। সময় নিন। ভালো করে বুঝুন যে, সহকর্মীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের অবস্থা আসলে কোন দিকে যাচ্ছে।

তারসঙ্গে সম্পর্কটা নিয়ে আপনার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস আছে তো? এছাড়াও প্রত্যেক কোম্পানির পলিসি ডেটিং ফ্রেন্ডলিও হয় না। তাই সম্পর্ক শুরু করার আগে ও সম্পর্কের কথা সবাইকে জানানোর আগে অবশ্যই এই পলিসির বিষয়টি খেয়াল রাখুন।

ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন আলাদা রাখুন
দেখুন সব সম্পর্কেই ঝগড়া-অশান্তি লেগেই থাকে। সম্পর্কে ভালো মুহূর্তও যেমন থাকে। আবার ঝগড়াও হবে। কারণ দুজন মানুষের মতামত যেসব সময় এক পথে এগোবে না। তার মানে এই নয় যে, আপনি তার প্রভাব আপনার কর্মজীবনে পড়তে দেবেন। আপনাদের ডেস্কে যেন সেই ঝগড়ার প্রভাব না পড়ে। আবার এই কথাও ঠিক যে, একটু সতর্ক থাকতে হবে।

অফিসেই দুজনে দুজনের হাত ধরছেন। একে অপরের পাশে বসছেন, কোনো কারণ ছাড়াই একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসছেন, এই কাজগুলো একদম করবেন না। কারণ ঘনিষ্ঠতা সবার নজরে আসছে। তাই আপনার নামে গসিপ ছাড়া আর কোনো কিছুই হবে না। সহকর্মীরা এই ধরনের ব্যবহার পছন্দ নাও করতে পারেন। 

সঠিকভাবে কমিউনিকেট করুন
যখন অফিসে আছেন, তখন শুধুমাত্র অফিসের কাজ নিয়েই আলোচনা করুন। কোনও ব্যক্তিগত আলোচনা যেন আপনাদের ডেস্কে না হয়। এছাড়াও অফিসের ই মেইল ব্যবহার করে ব্যক্তিগত কথা বলবেন না। অফিসের চ্যাটে বা মোবাইল নম্বরেও যেন ব্যক্তিগত কথা না বলেন। অফিসের পক্ষে আপনার অজান্তেই সেসব ই-মেল ট্র্যাক হতে পারে। এছাড়াও আপনিই তো অফিসের রিসোর্সকে ভুল কাজে ব্যবহার করছেন। তাই আপনার ব্যাপারে সঠিক বার্তা বাকিদের কাছে যাবে না। এছাড়াও বড় বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন আপনি।

ব্যক্তিগত কথা সহকর্মীদের বলবেন না
আমাদের সবার ব্যক্তিগত জীবনেই সমস্যা থাকে। এমনকি সম্পর্কেও নানা সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু তাই বলে আমরা সব কথা তো সবাইকে জানাই না। খুব কাছের মানুষদের সঙ্গেই সেই কথা শেয়ার করি। তাই আপনার নিজের সম্পর্কের বা প্রেমের সমস্যা নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো।

তাদের কাছে জানানো মানে আসলেই আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে সবার সামনে মেলে ধরছেন। নিজেই নিজের জীবনকে সবার আলোচনার বিষয় বানিয়ে তুলছেন। সবাই কফি ব্রেকে আর গসিপ সেশনে আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই আলোচনা করেন।

সম্পর্ক ঠিকঠাক না এগোলে
দেখুন, প্রত্যেকেরই যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক শুরু করার আগে এই বিষয়টা খেয়াল রাখা উচিত। যদি আপনারা বোঝেন যে, আপনাদের সম্পর্কে বারবার সমস্যা লেগেই আছে এবং আপনাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই উচিত, তবে সঠিকভাবে বিষয়টি চালনা করুন।

ম্যাচিউরভাবে পরিস্থিতি পরিচালনা করুন। প্রয়োজনে ব্রেকআপ করুন। এই কথাও ঠিক যে, ব্রেকআপের পর প্রতিদিন একে অপরকে অফিসে দেখার পর মানসিক কষ্ট হবেই। যদি একই টিমে কাজ করেন তবে, কাজের অসুবিধাও হবে। তাই কোনো সমস্যা হওয়ার আগেই সতর্ক হন। নিজেকে প্রস্তুত করুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং এই সময়

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী