সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৩১ বছর পর বাবা-মার কাছে ফিরলেন ছেলে

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২ ১৯ ০৭ ০২  

৩১-বছর-পর-বাবা-মার-কাছে-ফিরলেন-ছেলে

৩১-বছর-পর-বাবা-মার-কাছে-ফিরলেন-ছেলে

বরগুনার বামনা উপজেলা সদরের কলাগাছিয়া গ্রামে ৩১ বছর পর বাবা-মায়ের কাছে ফিরলেন ছেলে। একই সঙ্গে ফিরেছেন পুত্রবধূ ও তিন নাতি। তাদেরকে ফিরে পেয়ে খুশির শেষ নেই বৃদ্ধ বাবা-মার। 

নিখোঁজ মো. জালাল আহম্মেদ ওই গ্রামের মো. আব্দুর রব মিস্ত্রীর বড় ছেলে।

মঙ্গলবার সকালে সপরিবারে ভারতের কর্ণাটক প্রদেশ থেকে বাংলাদেশের বামনা উপজেলায় পৌঁছায়। 

জানা যায়, আট বছর বয়সে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে দেওবন কওমি মাদরাসায় লেখাপড়া করতে যান শিশু জালাল আহম্মেদ। তিনি মাদরাসা থেকে হারিয়ে যান। পরে একটি এতিমখানায় লেখাপড়া শুরু করেন। কোনো বৈধ উপায়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তার। পড়ালেখা শেষে কর্ণাটক রাজ্যে একটি মসজিদে ইমামতি করতে এতিমখানার পক্ষ থেকে পাঠানো হয় তাকে।

ওই রাজ্যের নাগরিকত্ব লাভ করেন জালাল। বিয়ে করেন সেখানকার এক মুসলিম পরিবারে। বর্তমানে দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তার সুখের সংসার কর্ণাটকে। বাবা-মা, স্বজন কিংবা কোনো প্রতিবেশীর ফোন নম্বর না থাকায় ৩০ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলেন তিনি।

গত বছরের মে মাসে ফেসবুকে ‘বামনা সংবাদ’ নামে একটি পেজে তার ছেলের আইডি থেকে জানানো হয় তার বর্তমান অবস্থান। পরে খোঁজ করা হয় তার পরিবারের। ২৭ মে খোঁজ মেলে পরিবারের সদস্যদের।  

আব্দুর রব মিস্ত্রী বলেন, ‘পোলাডা এহন মোর বুকে ফিরা আইছে। মুই আর কিছু চাই না। ’ 

জালাল আহম্মেদ বলেন, ‘ভারতে পড়াশোনা করতে গিয়ে নিঁখোজ হয়েছিলাম। আমার ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুবাধে ফেসবুকে বামনার একটি পেজের সন্ধান পাই। এরপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তারাই আমাকে বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। ’

‘বামনা সংবাদ’ পেজের মডারেটর গোলাম রেদোয়ান রাব্বি তালুকদার বলেন, ‘আমাদের পেজে জালাল আহম্মেদ নক করেন। তিনি ভালো বাংলা লিখতে না পারার কারণে অনেক কিছুই প্রথমে বুঝতে পারিনি। বাবার নাম ও গ্রামের নাম বুঝেছিলাম। তখন খুঁজতে খুঁজতে দুই দিন পরে তার বাবা-মাকে পেয়ে যাই। ’

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী