বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাতিয়ায় জলদস্যু বাহিনীর গোলাগুলিতে নিহত ৩

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০ ১০ ০২  

হাতিয়ায়-জলদস্যু-বাহিনীর-গোলাগুলিতে-নিহত-৩

হাতিয়ায়-জলদস্যু-বাহিনীর-গোলাগুলিতে-নিহত-৩

সম্পর্কিত খবর লালমোহনে দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ জলদস্যু আটক নোয়াখালীর হাতিয়ায় দুই জলদস্যু বাহিনীর গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

শুক্রবার সকালে মরদেহ তিনটি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হাতিয়ার ঘাসিয়ার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চর ঘাসিয়ার বাসিন্দা জলদস্যু ফখরুল বাহিনীর সদস্য ৩০ বছর বয়সী মো. কবির, ৩৭ বছরের সাহারাজ ও নবীর উদ্দীন ওরফে নূরনবী।

আটকরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহ গ্রামের ইসাইলের ছেলে আজিম, আবদুর রশিদের ছেলে মো. হারুন, চর গজারিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে লিটন, কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে মোশাররফ ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর গজারিয়া গ্রামের মুরাদের ছেলে মো. হিনজু।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘাসিয়ার চর এলাকা থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কে এম শাফিউল কিঞ্জল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঘাসিয়ার চরে আধিপত্য বিস্তার করছিল জলদস্যু খোকনের বাহিনী। কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন খোকন। এরপর চরের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আরেক জলদস্যু ফখরুল ইসলামের হাতে। সম্প্রতি খোকন জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ফখরুলের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়।  এরই জেরে বৃহস্পতিবার ভোরে দুই বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়।

এ ঘটনায় ফখরুল বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হন। আহত হন আরো কয়েকজন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে খোকন বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি, ছয়টি রামদা ও পাঁচটি বল্লম উদ্ধার করা হয়।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী