শ্বশুরের মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পর মারা গেলেন পুত্রবধূও

শনিবার বিকেল তখন ৫টা। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬৫ বছর বয়সী বেলায়েত হোসেন। এ খবর শুনে মৃতের পুত্রবধূ কোহিনূর আক্তার বিলাপ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে বেলায়েত হোসেনকে দাফন করা হয়। শ্বশুরের দাফনের সাত ঘণ্টা পর মারা যান পুত্রবধূও। রোববার ঘটনাটি ঘটেছে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর গ্রামে। এতে ওই পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

অপরদিকে, বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ওমানপ্রবাসী আনোয়ার হোসেন দেশের পথে রওনা হন। কিন্তু পথেই স্ত্রীর মৃত্যুর খবরও শুনতে পান। এতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।

জানা যায়, উপজেলার উত্তর আলীপুর গ্রামের মো. বেলায়েত হোসেন ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের কারণে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শনিবার বিকেলে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। লাশ বাড়িতে নেয়ার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

বেলায়েত হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনে তার বড় ছেলে ওমান প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী কোহিনূর আক্তার  বিলাপ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বশুরের লাশ বাড়ি থেকে কবরস্থানে নেয়ার পথেই কোহিনূরের বুকে ব্যথা ওঠে। বাড়ির লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রোববার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন কোহিনূর আক্তার। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে ফাতিহা নুরের বয়স পাঁচ বছর, আরেক মেয়ে ফাইজা নুরের বয়স মাত্র তিন বছর। কোহিনুরের বাবার বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার মধুয়াই গ্রামে।

এদিকে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ওমানপ্রবাসী আনোয়ার হোসেন দেশের পথে রওনা হন। কিন্তু পথেই স্ত্রীর মৃত্যুর খবরও শুনতে পান। এতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি।

স্থানীয় মাতুভূঞা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনা শুনে তিনি ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা হৃদয়বিদারক।