যুবককে আট টুকরো, মূল হোতা গ্রেফতার

সম্পর্কিত খবর ডোবায় এক টুকরো, ডাঙায় মিলল দুই হাত! গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর সবুজ বার্নার্ড ঘোষাল নামের গার্মেন্টস কর্মীর মরদেহের আট টুকরো উদ্ধারের পর ঘটনায় মূল হোতা শাহিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই )।  

রোববার তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার জবানবন্দি অনুযায়ী ওইদিন সন্ধ্যায় কালীগঞ্জের নাগরী এলাকায় তার ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে নিহতের রক্তমাখা জামা কাপড় ও হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকসুদের রহমান।

গ্রেফতার শাহীন সাতক্ষীরা জেলার তালা থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের  সাবেক ইউপি সদস্য মানিক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। 

নিহত সবুজ উপজেলার একই ইউপির ভাসানিয়া গ্রামের অমূল্য বার্নার্ড ঘোষালের ছেলে। তিনি ওই ইউপির পানজোড়া গ্রামের পূর্বাচল অ্যাপারেলস লিমিটেডে কোয়ালিটি চেকার (কিউসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সবুজ পরিবারের একমাত্র সন্তান ও তার ঘরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছেন।

আরো পড়ুন >>> ডোবায় এক টুকরো, ডাঙায় মিলল দুই হাত!

পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া হত্যায় ব্যবহার করা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

গত বুধবার সকালে কর্মস্থল পূর্বাচল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ফ্যাক্টরির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় সবুজ। রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। সন্ধান না পেয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি  (জিডি) করেন নিহতের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। পরে নিখোঁজের তিন দিন পর শনিবার  সকালে তিন খণ্ড ও সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি পায়ের কিছু অংশ ছাড়া মরদেহের সাত খণ্ড উদ্ধার করা হয়। রোববার বাকী অংশসহ মরদেহের আট টুকরো উদ্ধার করা হয়।