বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুখে বিষ ঢেলে হত্যা, হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালালেন স্বামী

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২২ ২২ ১০ ০১  

মুখে-বিষ-ঢেলে-হত্যা-হাসপাতালে-স্ত্রীর-লাশ-ফেলে-পালালেন-স্বামী

মুখে-বিষ-ঢেলে-হত্যা-হাসপাতালে-স্ত্রীর-লাশ-ফেলে-পালালেন-স্বামী

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শিমু খাতুন নামে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে -এ নিয়ে উঠেছে গুঞ্জন।

মৃতের স্বজনরা বলছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। সন্দেহের তীর স্বামীর দিকে। এদিকে স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেছেন স্বামী।

শনিবার রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত এ ঘটনায় ধুনট থানায় অভিযোগ করা হয়নি। এর আগে, শুক্রবার রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিমু।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম।

নিহত ৩৫ বছরের শিমু ওই উপজেলার ফাঁসিতলা গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের মেয়ে। তার শ্বশুরবাড়ি একই উপজেলার গোসাইবাড়ি মবুয়াখালী গ্রামে। মৃতের স্বামীর নাম আব্দুল আজিজ।

মৃতের স্বজনদের দাবি, আব্দুল আজিজ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। শুক্রবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে শিমুকে মারধর করেন আজিজ। ওই সময় শিমু অচেতন হয়ে পড়লে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মুখে বিষ (কীটনাশক) ঢেলে দেন আজিজ। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিমু। ওই সময় শজিমেক হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে রেখেই পালিয়ে যান আজিজ।

ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, শিমুকে তার স্বামী হত্যা করেছেন- এমন অভিযোগ নিয়ে মৃতের মামাতো ভাই থানায় এসেছিলেন। তাকে বলা হয়েছে মৃতের মা ও আপন ভাই এখনো বেঁচে আছেন। তাদের কেউ আসলে অভিযোগ নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, শিমু বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে মারা যাওয়ায় সদর থানায় এ ঘটনায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে- ওই নারী কীটনাশক সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। এরপরেও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর আসল কারণও জানা যাবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী