বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মঞ্চে বসা নিয়ে বিএনপির মারামারি

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬ ০৪ ০২  

মঞ্চে-বসা-নিয়ে-বিএনপির-মারামারি

মঞ্চে-বসা-নিয়ে-বিএনপির-মারামারি

জ্যেষ্ঠ নেতাদের মঞ্চে না ডাকায় তৈরি হয় হট্টগোল। একপর্যায়ে নিজেরাই জড়িয়ে পড়েন চেয়ার মারামারিতে। এতে আহত হন কয়েকজন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নগর বিএনপির ডাকা কর্মসূচিতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় আহত হন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আজম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সালাউদ্দিন, মো. রিপন ও মো. সায়মন।

জানা গেছে, ঘটনার দিন (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগর বিএনপির সদস্য কামরুল ইসলামের পরিচালনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিমুর রহমান, আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম, কাজী বেলালসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন মঞ্চের সামনে সাধারণ কর্মীদের চেয়ারে বসেন। মঞ্চে বসা ছিলেন তাদের চেয়ে কনিষ্ঠ নেতারা। সমাবেশ শুরুর পর মঞ্চ থেকে কনিষ্ঠ নেতাদের সরাননি দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও ডেকে তোলেননি মঞ্চে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জ্যেষ্ঠ নেতারা।

পরে কয়েকজনের নাম ঘোষণা করা হলেও মঞ্চে গিয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি তারা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাদের অনুসারীদের মধ্যে শুরু হয় চেয়ার মারামারি ও হাতাহাতি। এতে কয়েকজন আহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার বলেন, সাধারণ কর্মীর আসনে আমাদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি বলতে চেয়েছিলাম। বক্তব্য দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিমুর রহমান বলেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা রাখতে পারছেন না নেতারা। দলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা জ্যেষ্ঠ নেতাদের মঞ্চে না বসিয়ে সাধারণ কর্মীর চেয়ারে বসিয়ে রাখে। তাই বক্তব্য না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বলেন, নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বারবার অনুরোধ করার পরও তারা মঞ্চে আসেননি, বক্তব্যও দেননি।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী