বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫ ০৩ ০১  

ভুটানকে-গোলবন্যায়-ভাসিয়ে-সাফের-ফাইনালে-বাংলাদেশ

ভুটানকে-গোলবন্যায়-ভাসিয়ে-সাফের-ফাইনালে-বাংলাদেশ

চলমান সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ ভুটানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভুটানের জালে রীতিমতো গোল উৎসব করেছেন সাবিনা খাতুনরা।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে ভুটানের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই জয়ে দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর আবার ফাইনাল পা রাখল বাংলাদেশ। 

সাবিনা একাই করেন তিন গোল। একটি করে গোল স্বপ্না, কৃষ্ণা রানী সরকার, ঋতুপর্ণা চাকমা, মাসুরা পারভীন ও তহুরা খাতুনের।

ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটেই দলকে লিড এনে দেন সিরাত জাহান স্বপ্না। মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের পাস ধরে বাম কর্নার দখলে নেন তিনি। এরপর ডি বক্সে ঢুকে ভুটান গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বাংলাদেশকে এনে দেন ম্যাচের প্রথম সাফল্য।

ষষ্ঠ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মারিয়া মান্ডার নেয়া দুর্বল শট গ্লাভসবন্দি করেন ভুটান গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। প্রতি আক্রমণে গিয়ে ফাঁকা রক্ষণভাগে ঢুকে গোলের চেষ্টা করেন ভুটানের মেয়েরা। বক্স ছেড়ে দ্রুত পায়ে বল ক্লিয়ার করেন রূপনা চাকমা।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। মাঝমাঠ থেকে মারিয়া মান্ডার বাড়িয়ে দেয়া পাস ধরে প্রতিপক্ষের রক্ষণদেয়ালে ঢুকে পড়েন সাবিনা। গোলরক্ষক কিছুটা বেরিয়ে পড়ায় সহজ শটে বল জাল বন্দি করেন তিনি।

ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ৫ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার ছিলেন তিনি। সে সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে নিলেন ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার পাঠানো উঁচু শট হেডের সাহায্যে জালে জড়ান কৃষ্ণা রানি সরকার। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও একটি গোল করেন তিনি। ৩৫ মিনিটে ভুটানের হালি গোলে ভুটানের জাল বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশের মেয়েরা।

মাঝমাঠ থেকে পাওয়া সতীর্থের পাস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলের উদ্দেশে শট নেন কৃষ্ণা। প্রথম প্রচেষ্টায় ঠেকিয়ে দেন ভুটানের গোলরক্ষক। তবে পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি তিনি। বল চলে যায় কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা রিতুপর্নার কাছে। তার শট খুঁজে নেয় ঠিকানা।

ফলে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লাল গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরো ৪ গোল করে বাংলার মেয়েরা। ফলে বড় জয়ের সঙ্গে নিশ্চিত করে ফাইনাল। 

নারীদের সাফে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য ২০১৬ সালে ফাইনাল খেলা। সেবার ভারতের বিপক্ষে হেরে শিরোপা খুইয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী