বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘বিয়ের পরও প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে মিশছি! ভুল হচ্ছে কি?’

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২ ১৩ ০১ ০২  

বিয়ের-পরও-প্রাক্তন-প্রেমিকের-সঙ্গে-মিশছি-ভুল-হচ্ছে-কি

বিয়ের-পরও-প্রাক্তন-প্রেমিকের-সঙ্গে-মিশছি-ভুল-হচ্ছে-কি

প্রশ্ন: আমার বয়স ২৬ বছর। কয়েকদিন আগে বিয়ে হয়েছে। এমনিতে আমি ভালোই আছি। সবই আছে এখানে। তবে কোথাও একটা ফাঁক কিন্তু এখনও জীবনে রয়েছে। আর সেই ফাঁক ভরাটেই সমস্যা বাড়ছে। আমি বুঝতে পারছি যে বিষয়টা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু তাও সেই দিকে এগিয়ে চলেছি আমি।

আসলে আমার অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হয়েছে। বাবা-মা ছেলে খুঁজেছে। সেই ছেলের সঙ্গেই দেওয়া হয়েছে বিয়ে। তবে সমস্যাটা রয়েছে এরও আগে থেকে। আসলে আমি অনেকদিন ধরে প্রেম করেছি। একটা বয়ফ্রেন্ড ছিল। এবার বিয়ের আগে আমাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়। কিন্তু এরপর এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। আসলে বিয়ের পর সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু মাত্র ৪ মাস যেতে না যেতেই আমি ফেসবুক নির্ভর হয়ে যাই। এই ফেসবুকেই আবার প্রাক্তনের সঙ্গে মেলামেশা শুরু হয়। প্রথমে ফেসবুক চ্যাট ছিল। তারপর ফেসবুক পেরিয়ে সেই চ্যাট এখন মোবাইলে এসেছে।

ব্রেকআপের পর আমরা দুজনেই নাম্বার বদলে ফেলেছিলাম। কিন্তু এখন সেই নাম্বার আবার দেওয়া নেয়া হয়। এখান থেকেই শুরু হয় নতুন সমীকরণ। আসলে আমরা এখন প্রায়ই কথা বলি। প্রতিদিনই কিছু না কিছু বিষয়ে অনেকক্ষণ কথা হয়।

আমি নিজের স্বামীকে এই সম্পর্কের কথা আগেই জানিয়েছি। সবকিছুই বলেছি। বিষয়টা নিয়ে ও তেমন কিছু মনে করেনি। তবে আমি এখন যে সেই প্রাক্তনের সঙ্গে কথা বলি, সেটা বলিনি। এখন আবার প্রাক্তন দেখা করতে চাইছে। এখন আমি কী করব?

​বিশেষজ্ঞের উত্তর

এই প্রসঙ্গে আত্রেমিস হাসাপাতালের হোলিস্টিক মেডিসিনের প্রধান ডা. রচনা খান্না সিং বলেন, আমি বুঝতে পারছি আপনার এই সময়টায় সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একজন মানুষের সঙ্গে এতদিন সম্পর্কে ছিলেন। তারপর সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন মানুষের সঙ্গে বিয়ে করাটা কঠিন হয়েছে। তবে এটা তো মানিয়ে নিতেই হবে।

আমার মনে একটাই ভয় এখন, আসলে মনে রাখার বিষয় হল, আপনি বিবাহিত। এরপরও প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু বুঝতে হবে বিয়ের মাধ্যমে নিজের স্বামীকে আপনি একটা নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আর এই প্রতিশ্রুতি হল সম্পর্কে থাকার। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত।

আপনি যদি এই সময়ে দাঁড়িয়ে নিজের প্রাক্তনের সঙ্গে কথা বলতে চান, তবে সত্যিই সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ওই মানুষটির প্রতি একটা ফিলিং থাকতেই পারে। তবে সেই অনুভূতি নিয়ে কিন্তু বেশি ভাবা যাবে না। বরং অনুভূতি বেশি জ্বালালে নিজের সঙ্গেই কথা বলুন। কারণ একমাত্র আপনিই জানেন যে নিজের ভেতর কী চলছে। অন্য কেউ বাইরে থেকে বুঝতে পারবে না।

আবার এমনটাও হতে পারে যে এই মানুষটির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার ইচ্ছে আপনার নেই। সেক্ষেত্রে শুধু বন্ধুত্ব রাখতেই চাইছেন আপনি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কিন্তু সোজা দেখা করলে চলবে না। বরং নিজের স্বামীকে পুরো বিষয়টা খুলে বলতে হবে। মনের কথা বলুন। দেখুন তিনি কী চাইছেন। তার কথা এই সময় মানতেই হবে। নইলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যান।

এছাড়াও নিজের এই সমস্যার কথা কোনো বন্ধু বা পরিবারের বিশ্বাসযোগ্য কারো সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। দেখবেন সমস্যা থেকে বেরনোর পথে পেয়ে গেছেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী