বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পায়রা ও বিষখালী নদীতে মাছ ধরার প্রস্তুতি, ৭ জেলের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২২ ১১ ১১ ০২  

পায়রা-ও-বিষখালী-নদীতে-মাছ-ধরার-প্রস্তুতি-৭-জেলের-কারাদণ্ড

পায়রা-ও-বিষখালী-নদীতে-মাছ-ধরার-প্রস্তুতি-৭-জেলের-কারাদণ্ড

বরগুনার সাত জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পায়রা ও বিষখালী নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের অপরাধে তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নূর।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরগুনার বেতাগী উপজেলা দক্ষিণ কালিকাবাড়া এলাকার জেলে মো. ইউনুস, একই এলাকার মো. পনু মিয়া, মো. ইমরান, তালতলী উপজেলার আগাপাড়া এলাকার মো. সুলাইমান, একই এলাকার মো. দেলোয়ার, একই উপজেলার বড় অংকুজান পাড়া গ্রামের মোশাররফ ও তেঁতুল বাড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর।

আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমায় মা ইলিশ সবচেয়ে বেশি ও পরিপক্ব ডিম ছাড়ে। ওই বড় পূর্ণিমার দিন পড়েছে ৯ অক্টোবর। আবার একই মাসের অমাবশ্যায় বেশি ও পরিপক্ব ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। এ অমাবশ্যার দিন পড়েছে ২৪ অক্টোবর। এ কারণে বড় পূর্ণিমা ও অমাবশ্যার তারিখ ঠিক রেখে সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম জানান, ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের একটি টিম পায়রা নদীতে অভিযানে নামে। পরে রাতব্যাপী মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভোরের দিকে ১০০ কেজি বরফ ও ২ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়েছে। মাছ ধরার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নদী থেকে চারজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে আমরা নদীতে টহলরত অবস্থায় বিষখালী নদী থেকে তিন জেলেকে আটক করি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ফয়সাল আল নূর তাদের প্রত্যেককে একমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।


 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী