বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই ফরিদপুরে ১১৪ কেজি ইলিশ জব্দ

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২২ ২১ ০৯ ০২  

নিষেধাজ্ঞার-প্রথম-দিনেই-ফরিদপুরে-১১৪-কেজি-ইলিশ-জব্দ

নিষেধাজ্ঞার-প্রথম-দিনেই-ফরিদপুরে-১১৪-কেজি-ইলিশ-জব্দ

৭ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নদীতে ইলিশ মাছ আহরণে নামার খবরও পাওয়া গেছে। বিভিন্ন স্থানে গোপনে এসব ইলিশ আহরণ করে সেগুলো গোপনেই বিক্রি হচ্ছে।

জেলার সদরপুরে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে পদ্মা নদী থেকে আহরণ করা ১১৪ কেজি ইলিশ অভিযান চালিয়ে জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রশাসনের অভিযান থেকে বাঁচার জন্য অনেকে গোপনে দূরবর্তী স্থানগুলোতে নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশ ধরতে যাচ্ছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী জানান, জেলার নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর ও চরমাধবদিয়া পদ্মাবেষ্টিত। এসব এলাকায় প্রচুর ইলিশের সমাগম ঘটে। এই নিষোধাজ্ঞার সময়ে যেন সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইলিশ আহরণ করতে না পারে সেজন্য সদর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে নিয়মিত তদারকি ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া জেলেদের তালিকা তৈরি করে তাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের চারটি উপজেলায় ইলিশের প্রণোদনার তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন ২ হাজার ২৩৭ জন। এরমধ্যে জেলা সদরে ৯৫০ জন, চরভদ্রাসনে ৭২০ জন, সদরপুর উপজেলায় ৪৯১ জন এবং মধুখালীতে ৭৬ জন রয়েছেন। এই জেলেদের মাঝে প্রণোদনা প্রদানের জন্য এরমধ্যে তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দফতরে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে ৪৫ জনের একটি তালিকা করা হয়েছে যাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য গরুর বাছুর প্রদান করা হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার জানান, এ বছর তালিকাভুক্ত এসব জেলেদের মাঝে প্রণোদনা বাবদ যে চাল বরাদ্দ পাওয়া যাবে তা সমহারে বন্টন করে দেওয়া হবে। সাধারণত প্রতিবছর ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এর বাইরে বিকল্প কর্মসংস্থান বাবদ ৪৫ জনের তালিকা করা হয়েছে। তাদেরকে বাছুর দেওয়া হবে। তবে এ বছর জেলেদের কোনো নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে না।

তিনি আরো জানান, নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই জেলার বিভিন্ন হাটবাজার পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তারের নেতৃত্বে গাবতলা, কালীখোলা ও বাবুরচর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে ১১৪ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইলিশ মাছ বেচাকেনার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, এই সময়ে মা মাছ গভীর সমুদ্র হতে পদ্মা নদীতে চলে আসে ডিম ছাড়তে। পদ্মাবেষ্টিত ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ইলিশের অবাধ বিচরণ গড়ে তুলতে নিষোধাজ্ঞা কার্যকর করা অনেক জরুরি। এ জন্য এই সময়ে ইলিশ আহরণ করা যাবে না। পাশাপাশি জেলেদের যেন এই ক্রান্তিকালে পরিবার নিয়ে অনাহারে না থাকতে হয় সেজন্য তাদের প্রণোদনা প্রদান করা হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী