সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিজ আলয়ে ভালোবাসায় ঋদ্ধ সাফজয়ীরা

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২ ২২ ১০ ০১  

নিজ-আলয়ে-ভালোবাসায়-ঋদ্ধ-সাফজয়ীরা

নিজ-আলয়ে-ভালোবাসায়-ঋদ্ধ-সাফজয়ীরা

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দেশে ফেরার পর সাবিনাদের বিরোচিত সংবর্ধনা দেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বিমান বন্দর থেকে খোলা ছাদে করে তাদের শহর প্রদক্ষিণ করে নিয়ে যাওয়া হয় বাফুফে অফিসে।

যাবার সময় রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন দেশের আপামর জনসাধারণ। যেন দেশের নারী ফুটবলের নবজাগরণ দেখলো বিশ্ব।

এর কিছুদিনপরই তাদের সংবর্ধনায় বরণ করে নেন কেন্দ্রীয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, রুপায়ন গ্রুপ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ফুলেল শুভেচ্ছার পাশাপাশি বিভিন্ন উপহারের সঙ্গে তারা পান অর্থ পুরস্কার।

ব্যস্ততা কাটিয়ে সাবিনারা বর্তমানে ২০ দিনের ছুটিতে আছেন। আর এই সুযোগে যে যার মতো করে নিজেদের এলাকায় পরিবারের কাছে ছুটে গেছেন। সেখানেও তাদের প্রতি ভালোবাসার ডালা সাজিয়ে আছেন নিজ পরিবার-পরিজনের পাশাপাশি এলাকবাসি। দেশের প্রতি তাদের যে অর্জন আর অবদান, তারই যেন কিছুটা প্রতিদান পাচ্ছেন যার যার এলাকা থেকে।

# চট্টগ্রামের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত রুপনা ও ঋতুপর্ণারা।

দক্ষিণ এশিয়া নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (সাফ) জয়ী বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ নারী ফুটবলারকে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদী পত্রিকার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান মোড়ে।

সংবর্ধনা পাওয়া বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ ফুটবলার হলেন-রাঙামাটির রুপনা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা; খাগড়াছড়ি জেলার মনিকা চাকমা এবং যমজ দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসা হয় সাফজয়ী পাঁচ ফুটবলারকে। এ সময় রাস্তার দুই পাশের মানুষজন তাদের দেখতে ভীড় করেন, হাত উঁচিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পাঁচ ফুটবলারকে ফুলের মালা এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে। এসময় সংবর্ধনার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে পাঁচ ফুটবালরাকে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, ‘আমি গর্বিত চট্টগ্রামের মেয়ে হয়ে। যখন দূরে থাকি তখন চট্টগ্রামকে মিস করি। অনেকদিন পরে চট্টগ্রামে শহরে এসে অনেক ভালো লাগছে।’

# ছাদখোলা জীপে খাগড়াছড়িবাসী বরণ করলো আনুচিং-মনিকাদের।

খাগড়াছড়ির তিন কৃতি ফুটবলার, আনাই-আনুচিং-মনিকা ও সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমাকে ছাদখোলা জীপ ও মোটর শোভাযাত্রায় বরণ করে নিয়েছে পার্বত্য খাগড়াছড়িবাসী।

৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে ফুটবলাররা রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ির ঠাকুরছড়া পৌঁছালে স্থানীয় নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এসময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সাফজয়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে।

ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বরণ করার পর ছাদখোলা জীপে তাদের নিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। খাগড়াছড়ির গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয় আনাই-আনুচিং-মনিকাদের।

স্টেডিয়ামের খোলা মঞ্চে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট, টি-শার্ট ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একলাখ টাকার চেক প্রদান করা হয় চার কৃতি ফুটবলারকে। এসময় বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও সম্মাননা ক্রেস্ট পান ফুটবলাররা।

# কলসিন্দুর কন্যাদের ভালোবাসায় বরণ করল ময়মনসিংহ।

সাফজয়ী কলসিন্দুরের ৮ সোনার মেয়েকে সংবর্ধনা দেয় ময়মনসিংহের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সংবর্ধনাস্থল পার্কের বৈশাখী মঞ্চে এসে উপস্থিত হন কলসিন্দুরকন্যারা। একে একে মঞ্চে ওঠেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, শামছুন্নাহার সিনিয়র, শামছুন্নাহার জুনিয়র, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, সাজেদা আক্তার ও মার্জিয়া আক্তার।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন যৌথভাবে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আট ফুটবলারের হাতে ক্রেস্টসহ বিভিন্ন উপহার তুলে দেওয়া হয়। এসময় পুরস্কার হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা এবং প্রান্ত স্পেশালাইজড হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় আরও এক লাখ টাকা।

এর আগে সড়কপথে বেলা সাড়ে ১১ টায় একটি পিকআপ ভ্যানে করে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সার্কিট হাউজে পৌঁছান এ নারী ফুটবলাররা।

যাত্রাপথে সড়কের দুই পাশে হাত নেড়ে তাদের অভ্যর্থনা জানায় নগরবাসী। বিশ্রাম শেষে ঘোড়ার গাড়িতে করে সংবর্ধনাস্থলে যান দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা ময়মনসিংহের এ আট নারী ফুটবলার।

নিজের অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে সানজিদা আক্তার বলেন, সাফ জেতার পর আমরা নিজ এলাকায় সংবর্ধনা পেলাম, হাজারো মানুষের ভালোবাসা পেলাম। এখানকার সবাই আমাদেরকে সাপোর্ট করে। আবারও এটি নিজের চোখে দেখলাম। সবমিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে।

# নিজ বিদ্যালয়ে অন্যরকম এক দিন কাটালেন ঋতুপর্ণা-রুপনাদের।

যে বিদ্যাপীঠ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করেছেন, যে বিদ্যাপীঠের মাঠে ফুটবলে হাতেখড়ি সেই বিদ্যালয়ের মাঠে সংবর্ধিত হলেন সাফ জয়ী পাঁচ পাহাড়ি কন্যা। ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মেয়েদের এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

নিজ বিদ্যালয়ের মাঠে সকালটা তাদের জন্য সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিলো। তারা নিজেরাও কল্পনা করেন নি যেই মাঠ থেকে তাদের ফুটবলের সাথে যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই মাঠে সম্মানিত হবেন তাঁরা।

এর আগে বুধবার রাতে ঋতুপর্ণার গ্রাম মগাছড়িতে তিন কিলোমিটার মশাল জ্বালিয়ে তাদের বরণ করে নেয় এলাকাবাসী।

নিজ বিদ্যাপীঠে এতটা সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বসিত ফুটবলাররা। এসময় আবেগাপ্লুতও হয়ে পড়েন তারা। ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, ‘যে মাঠ থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই মাঠেই এত বড় আয়োজন আমাদেরকে সত্যিই ঋণী করে দিল। আমরা ভাবতেও পারিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য এতবড় আয়োজন করবে।’

# বাড়ি ফিরেই মাঠে নামলেন মাছুরা, জেতালেন দলকে, পেলেন সংবর্ধনা।

সাতক্ষীরায় নিজ বাড়িতে ফিরেই ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন মাসুরা। তারপর ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে মাঠে নামেন শ্যামনগর নকিপুর বিদ্যালয় মাঠে। খেললেন ও জেতালেন নিজ দলকেও। শ্যামনগর ফুটবল একাডেমী ও খুলনা ফুটবল একাডেমীর মধ্যকার প্রীতি এ ফুটবল ম্যাচে মাছুরার দল শ্যামনগর ফুটবল একাডেমী ৩-১ গোলে জয়লাভ করে।

মাঠে মাছুরাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখতার হোসেন ও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ। এ সময় মাঠের চারপাশে ছিলেন হাজার হাজার দর্শক।

খেলার আয়োজক জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের খেলোয়াড় আলমগীর কবির রানা জানান, ‘উপকূলীয় এ অঞ্চলের এই প্রথম নারী ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হলো। অবহেলিত এ অঞ্চলে যেন ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলায় আকৃষ্ট হয় এজন্য ম্যাচটির আয়োজন করা হয়েছে।’

রোববার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন মাছুরাকে সংবর্ধনা দেবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাছুরাকে সংবর্ধনা দেওয়ার নানান প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

# বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ চালু হয়েছিল বলেই আঁখির সৃষ্টি।

নিজ এলাকা শাহজাদপুর উপজেলার শহীদ স্মৃতি সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আঁখি খাতুনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

সভায় আঁখির বাবা মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ চালু হয়েছিল বলেই আজ আঁখির সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যে আঁখিকে দেশ বিদেশে চিনছে সেই আঁখি খুব সহজে তৈরি হয়নি। সামাজিকভাবে ও প্রতিবেশীদের দ্বারা বহু প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে। বহু মানুষের উপহাস ও কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছ।’

আঁখি খাতুন বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসা ও সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে সামনে আরও এগিয়ে যেতে চাই। এমন জয় ও আজকের আয়োজনে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত।’

আগামী ৮ অক্টোবর শাহজাদপুর উপজেলার চরনবীপুর স্কুল মাঠে তাকে গণ সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের এমপি মেরিনা জাহান।

# ছাদখোলা গাড়িতে সংবর্ধনা পেলেন অধিনায়ক সাবিনা।

নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সাতক্ষীরাবাসী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টায় সার্কিট হাউজ মোড়ে বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয় তাকে।

পরে সাতক্ষীরা ক্রীড়া সংস্থার একটি পিকআপে চড়ে গোল্ডেন বুট ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ট্রফি হাতে শহর ঘুরে বেড়ান তিনি। এসময় হাত নেড়ে তাকে বরণ করে নেন জেলাবাসী।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ১২টায় সাবিনা খাতুনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা শেষে সাফজয়ী সাবিনা বলেন, ‘সাতক্ষীরার মানুষ এভাবে আমাকে সংবর্ধনা জানাবে এটা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। আমার জন্য এত আয়োজন দেখে আমি অভিভূত। সাতক্ষীরা বাসীর কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম। এমন সাফল্য দেশকে বিশ্বের কাছে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিলো।’

সাতক্ষীরার পলাশপোলে ১৯৯৩ সালে সাবিনা খাতুনের জন্ম। ২০০৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ফুটবলে পা রেখেছিলেন তিনি। ২০০৯ সালেই জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে।

# টাঙ্গাইলে সংবর্ধনা পেলেন ছোটন ও কৃষ্ণা
১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে জেলার দুই কৃতি সন্তান নারী দলের স্ট্রাইকার কৃষ্ণা রাণী সরকার ও কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের সম্মানে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে রাজকীয় সংবর্ধনার আয়োজন করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। 

অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষ্ণাকে দুই লাখ এবং কোচ ছোটনকে এক লাখ টাকা উপহার দেয়া হয়। 

জেলা পুলিশ সুপার এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ পুরষ্কার পেয়েছেন তারা।  

অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান কৃষ্ণা ও ছোটনকে স্বর্ণের চেইন উপহার দিয়েছেন। এছাড়া তাদের পরিবার ও কৃষ্ণার স্কুল কোচ গোলাম রায়হান বাপনকেও উপহার দেয়া হয়ে।

একই দিন বিকেলে গোপালপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কৃষ্ণা ও ছোটনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। 

# সবকিছুই নতুন মনে হচ্ছে মারিয়াদের 

দীর্ঘ দুই মাস পর ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদে যান মারিয়া-সানজিদারা। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। আদিবাসী নৃত্য ও গানের তালে মেয়েদের বরণ করে নেন সবাই। 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডা বার্গ বন লিন্ডে। অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আটজন খেলোয়াড় ও তাদের কোচকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রত্যেক ফুটবলারকে ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়।

 

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে গিয়ে মারিয়া মান্ডা বলেন, 'এই উপজেলার মাটি আমাদের শরীরে লেগে আছে। এই মাটিতেই আমরা বড় হয়েছি। অনেকবার এসেছি উপজেলা পরিষদ চত্বরে। কিন্তু আজ সবকিছুই যেন নতুন মনে হচ্ছে। নিজ ভূমিতে এতো ভালোবাসা পাবো ভাবতেও পারিনি।'

এর আগে শুক্রবার সকালে পুলিশের সংবর্ধনা শেষে হালুয়াঘাট যান সানজিদা-মারিয়ারা। সেখানে তাদের বরণ করে নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং। তার পক্ষ থেকেও সাফজয়ী ফুটবল কন্যাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

# ঠাকুরগাঁওবাসীর উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন সোহাগী ও স্বপ্না 

নেপালকে হারিয়ে প্রথমবার সাফ চাম্পিয়ন হওয়ায় নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে গণসংবর্ধনা পেলেন স্বপ্না রানী ও সোহাগী কিসকু। 

১ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে এ গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনায় জেলা প্রশাসন, জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ফুটবলারদের উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রদান করেন। এছাড়া জেলা প্রশানের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ পুরষ্কার দেওয়া হয়৷ 

উষ্ণ অভ্যর্থনা ও মানুষের এমন ভালবাসায় আবেগাপ্লুত স্বপ্না বলেন, 'জীবনে এমন একটি দিন আসবে আমরা কখনো কল্পনা করতে পারিনি৷ এত বেশী ভালবাসা পেয়েছি আর পাচ্ছি তা বলার মত নয়৷ আমরা ঠাকুরগাঁও বাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।'

# ছাদখোলা জিপ নিয়ে নিলাকে বরণ করল কুষ্টিয়াবাসী
জাতীয় পর্যায়ের সংবর্ধনার পালা শেষে নিজ জেলা কুষ্টিয়ায় উষ্ণ সংবর্ধনা পেলেন নিলুফা ইয়াসমিন নিলা।

১ অক্টোবর শনিবার দুপুর ১টায় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ক্রীড়া সংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নিলাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।

এর আগে বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের সৈয়দ মাছ-উদ-রুমী সেতু থেকে ছাদখোলা জিপে শহরের একাংশ প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসময় জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে তাকে এক লাখ টাকা ও ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। 

সংবর্ধনা পেয়ে তিনি বলেন, 'আমি খুবই আনন্দিত। কুষ্টিয়ার মানুষ এভাবে আমাকে সংবর্ধনা জানাবে কখনো কল্পনা করতে পারিনি। আজকের এই সংবর্ধনা আগামীতে খেলার অনুপ্রেরণা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।'

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী