ত্যাজ্য করবে বলায় বাবাকে পিটিয়ে মারলেন ছেলে

সম্পর্কিত খবর মাকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ দিল ছেলে ফেনীর পরশুরামে ত্যাজ্য করবে বলায় বাবা আবদুল মমিনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. ফারুক রাজিব ও তার শ্যালক আবদুল মজিব সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চিথলিয়া ইউপির পূর্ব আলকা গ্রামের তাজু কন্ট্রাকটারের পুরাতন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই পরশুরাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের মেয়ে পানু আক্তার। 

জানা যায়, আবদুল মমিনের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। বিয়ে হয়েছে সবার। ছেলে মো. ফারুক ওরফে রাজিব পেশায় একজন দলিল লেখক। ছেলের সঙ্গে বাবার ভালো সম্পর্ক ছিল না। আবদুল মমিন ও তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। ছেলে মো. ফারুক স্ত্রী সন্তান নিয়ে পরশুরাম উপজেলা সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। 

পরশুরাম মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে ফারুক রাজিব ও তার শ্যালক সুমনকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। ওই সময় ঘুমানের প্রস্তুতি নিচিছলেন আবদুল মমিন। ঘরে ঢুকেই ফারুক বাবার কাছে জানতে চান- তার মাকে কেন করা হয় নির্যাতন। এ নিয়ে বাবা-ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবা ক্ষুব্ধ হয়ে ফারুককে ত্যাজ্য পুত্র করবে বলে জানান। এতেই রান্নার লাকড়ী দিয়ে বাবাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন ফারুক। এরপর মাকে শিখিয়ে দেন ‘বাড়িতে ডাকাতের হামলায় তার বাবা আহত হয়েছেন’। পরে বাড়ি থেকে চলে যান ফারুক ও তার শ্যালক।

পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে আবদুল মমিনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় পরশুরাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের মেয়ে পানু আক্তার। রাতেই অভিযান চালিয়ে ছেলে ফারুক রাজিব ও তার শ্যালক আবদুল মজিব সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাদের ফেনীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।