মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সর্বনিম্ন টোল ৫ টাকা

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২২ ১১ ১১ ০১  

তৃতীয়-শীতলক্ষ্যা-সেতুর-সর্বনিম্ন-টোল-৫-টাকা

তৃতীয়-শীতলক্ষ্যা-সেতুর-সর্বনিম্ন-টোল-৫-টাকা

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর টোল সর্বনিম্ন ৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ৬২৫ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ সেতুর দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। এতে যুক্ত হবে ১৮টি জেলা। তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ও বন্দর উপজেলার মধ্যে সংযোগ তৈরি হচ্ছে।

সেতুর প্রকল্প পরিচালক শোয়েব আহমেদ বলেন, ওয়াকওয়েসহ ৩৮টি স্প্যানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। পাঁচটি নদীর ওপর দিয়ে যাওয়া সেতুটির প্রস্থ ২২ দশমিক ১৫ মিটার। ছয় লেনের টোল প্লাজায় সর্বনিম্ন গুনতে হবে ৫ টাকা আর সর্বোচ্চ ৬২৫ টাকা।

সেতুতে ট্রেইলার বা হেভি ট্রাক পারাপারের জন্য গুনতে হবে ৬২৫ টাকা। ট্রাক/ভ্যান, কন্টেইনারবাহী ট্রাক এবং অন্যান্য আরটিকুলেটেড যানবাহনের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। দুই এক্সেল বিশিষ্ট রিজিড ট্রাক/বাণিজ্যিক ব্যবহৃত ট্রাক্টর এবং ট্রেইলারের টোল ২৫০ টাকা।

এদিকে চালক ব্যতীত ৩১ অথবা তদুর্ধ্ব আসন বিশিষ্ট মােটরযানের টোল ২২৫ টাকা। ৩ টন পর্যন্ত পে-লোড ধারণে সক্ষম যানবাহন ১৯০ টাকা। কৃষিকাজে ব্যবহৃত যানবাহনের জন্য টোল ১৫০ টাকা। মিনিবাসের জন্য ১২৫ ও মাইক্রোবাসের জন্য ১০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের জন্য টোল ৬৫ টাকা।  সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান জাতীয় থ্রি হুইলারের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা। বাইকের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা। অন্যদিকে প্যাডেল চালিত রিকশা বা বাইসাইকেলের জন্য ৫ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১০ সালে একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি। ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে পাঁচটি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২ দশমিক ১৫ মিটার। এছাড়া ছয় লেনের টোল প্লাজা এবং দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ রোডও নির্মাণ করা হচ্ছে।

শীতলক্ষ্যা নদী বন্দর উপজেলা ও সোনারগাঁও উপজেলাকে জেলা সদর থেকে পৃথক করেছে। এ দুটি উপজেলা সরাসরি সড়কপথে জেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না। দুই উপজেলা থেকে সদরে যেতে কাঁচপুর ব্রিজ (শীতলক্ষ্যা-১ সেতু) ব্যবহার করতে হতো। ফলে নৌকায় নদীপথের মাত্র ৩-৫ কিলোমিটার দূরত্ব সড়ক পথে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী