বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তাড়াশে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য!

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২২ ১৮ ০৬ ০১  

তাড়াশে-ইউনিয়ন-ভূমি-অফিসে-বেপরোয়া-ঘুষ-বাণিজ্য

তাড়াশে-ইউনিয়ন-ভূমি-অফিসে-বেপরোয়া-ঘুষ-বাণিজ্য

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাটিয়া মালিপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে নামজারির নামে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাটিয়া মালিপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

একাধিক সূত্র জানায়, জমির পরিমাণ যা হোক না কেন, দলিল প্রতি ৮-৯ হাজার টাকা না দিলে খারিজ হয় না। যে সমস্ত খারিজে কিছুটা জটলা রয়েছে সেসব খারিজের জন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি বিধি মোতাবেক স্টেটমেন্টের জমির (বড়-খতিয়ান) আংশিক খাজনা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আংশিক খাজনা নিচ্ছেন তিনি যা নিয়ম বহির্ভূত। খতিয়ানের ফটোকপি ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে পাবলিককে দেওয়ার বিধান না থাকলেও টাকার বিনিময়ে ফটোকপি প্রদান করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাটিয়া মালিপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দালান সিন্ডিকেটের মূলহোতা মো. রফিকুল ইসলাম রফিক খাজনা-খারিজ করে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।

এ বিষয়ে মাটিয়া মালিপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলামসহ দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, রফিক আমার অফিসের কেউ নয়, সে প্রতিদিন খাজনা-খারিজ করার জন্য লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে আসে। আমি তাকে অফিসে না আসার জন্য নিষেধও করেছি।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী