বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টাঙ্গাইলে চার গাড়ির সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের, আহত ২৫

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২২ ২২ ১০ ০১  

টাঙ্গাইলে-চার-গাড়ির-সংঘর্ষে-প্রাণ-গেল-২-জনের-আহত-২৫

টাঙ্গাইলে-চার-গাড়ির-সংঘর্ষে-প্রাণ-গেল-২-জনের-আহত-২৫

বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুর্ণী নামক স্থানে ট্রাক, পিকআপভ্যান, যাত্রীবাহী বাস ও ড্রাম ট্রাকের সংঘর্ষে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় পিকআপচালক ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রতন চন্দ্র বর্মন (২৫) কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মুসলিমপাড়া গ্রামের ফিরোজচন্দ্র বর্মনের ছেলে। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের কুর্ণী নামক স্থানে বিকল হওয়া বালুভর্তি একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় দ্রুতগতির পিংকী পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ফলে বাসটির বাম পাশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এ সময় বাসের পেছনে থাকা একটি ড্রাম ট্রাক হঠাৎ ব্রেক করায় তার পেছনে থাকা মুরগি ভর্তি পিকআপ অগ্রগামী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটিও দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালকসহ চারজন আহত হন। এ ঘটনায় ঢাকাগামী লেনে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ রেকার দিয়ে বাস, পিকআপ ও বালুভর্তি ট্রাক সড়িয়ে নিলে ৭টার দিকে মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মোল্লা টুটুল জানান, মহাসড়কে পরপর চার গাড়ির সংঘর্ষে একজন নিহত ও প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো সড়িয়ে নেয়ায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

অন্যদিকে মির্জাপুর পৌর সভার ত্রিমোহন জেলেপাড়া নামক স্থানে শুক্রবার ভোরে ট্রেনে কাটা পড়ে কমলা রানী নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। নিহত কমলা রানী (৭০) ওই এলাকার মোহন বাসী রাজবংশীর স্ত্রী। তিনি প্রতিদিন রেললাইনে টোকাইয়ের কাজ করতেন।

স্থানীয়রা জানায়, কমলা রানী ও তার স্বামী ওই এলাকায় অন্যের বাড়িতে থাকতেন। কমলা রানী প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে রেললাইন ধরে হাঁটেন ও প্লাটিকের বর্জ্য সংগ্রহ করেন। শুক্রবার ভোরেও প্রতিদিনের মতো রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি মারা যান।

মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের মাস্টার কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পরপরই পরিবারের লোকজন বৃদ্ধার মরদেহ বাড়ি নিয়ে গেছে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী