মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘জনসন অ্যান্ড জনসন’বেবি পাউডারে বিষ

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২২ ১৩ ০১ ০১  

জনসন-অ্যান্ড-জনসনবেবি-পাউডারে-বিষ

জনসন-অ্যান্ড-জনসনবেবি-পাউডারে-বিষ

‘জনসন অ্যান্ড জনসন’বেবি পাউডার ঘিরে কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক অব্যাহত। ২০২০ সাল থেকে আমেরিকা ও কানাডায় বন্ধ ছিল এই পাউডার বিক্রি। এবার একেবারে পুরো বিশ্বেই তাদের এই পণ্য বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। বৃহস্পতিবার তাদের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে আর বেবি পাউডার বিক্রি করবে না তারা।

ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’বেবি পাউডারকে নিয়ে? ওই পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। অ্যাসবেস্টস শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। বছর তিনেক আগে এই অভিযোগ ওঠার পর থেকে ক্রমেই বিতর্ক বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও কানাডার পর এবার সম্পূর্ণ ভাবেই পাউডারটি বিক্রি বন্ধ করে দিচ্ছে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকায় চলতে থাকা অসংখ্য ক্রেতা সুরক্ষা মামলার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।

১৮৯৪ সাল থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’বেবি পাউডার বিক্রি হয়ে চলেছে। পরিবারবন্ধুর প্রতীক হয়ে ওঠায় সংস্থার প্রতীকী পণ্য হয়ে উঠেছিল এটিই। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার নারী জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই কমে যাচ্ছিল পাউডারটির চাহিদা। আমেরিকার এক আদালত সংস্থাকে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানা করেছিল। আদালতের বক্তব্য ছিল, সংস্থাটি শিশুদের পণ্য নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে। বিচারক এমনো জানিয়েছিলেন, এই অপরাধের শাস্তি কেবল অর্থের জরিমানাতেই শেষ হতে পারে না।

পরিস্থিতি ক্রমেই প্রতিকূল হচ্ছিল। বাধ্য হয়েই ২০২০ সালে আমেরিকা ও কানাডায় ওই পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয় সংস্থা। কিন্তু তারপরও বিতর্ককে সঙ্গী করেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে দিব্যি বিক্রি করা হচ্ছিল পণ্যটি। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিশ্বের বাজার থেকেই পণ্যটি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হল।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী