মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চার বছর ধরে ইউজ করে আমাকে ঠকিয়েছে: সোহানা সাবা

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬ ০৪ ০২  

চার-বছর-ধরে-ইউজ-করে-আমাকে-ঠকিয়েছে-সোহানা-সাবা

চার-বছর-ধরে-ইউজ-করে-আমাকে-ঠকিয়েছে-সোহানা-সাবা

অনুমতি ছাড়া অনলাইনে এবং অফলাইনে বিভিন্ন চ্যানেলে ‘আড্ডা উইথ সোহানা সাবা’ নামক একটি সেলিব্রেটি টকশো সম্প্রচার করায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। প্রতিষ্ঠান দু’টি হলো- এম/এস ইনসটিচ স্টুডিও ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সোহানা সাবার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মজিবুল কামাল এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মজিবুল কামাল নিজেই বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

নোটিশে দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়— অভিনেত্রী সোহানা সাবা গত ৪ চার বছর আগে তারকালয় ‘আড্ডা উইথ সোহানা সাবা’ নামে একটি সেলিব্রেটি টকশো নির্মাণ শুরু করেন। যা এম/এস ইনসটিচ স্টুডিও ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড পরবর্তীতে আরও অনেক ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে সাবার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করেছে। এতে জানা-অজানা অনেকেই আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। তবে, টকশোটি সাবার কপিরাইট করা এবং যার সার্টিফিকেটগুলোর নম্বর যথাক্রমে সিআরএস ২৭০৪৮, ২৭০৮৫, ২৭০৮৬, ২৭০৮৭ ও ২৭০৮৮।

এম/এস ইনসটিচ স্টুডিও এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেড সোহানা সাবার কোনো সম্মতি ও লাইসেন্স ছাড়া অনুষ্ঠানগুলো অনলাইন এবং অফলাইন বিভিন্ন চ্যানেলে সম্প্রচার করেছে। যা আইন অনুযায়ী কপিরাইট আইন ২০০০ এর (সংশোধিত ২০১০) এর ৭১ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এই বিষয়ে অভিনেত্রী সোহানা সাবা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এম/এস ইনসটিচ স্টুডিও ও রবি আজিয়াটা লিমিটেডের কাছে পাওনা পাওয়ার জন্য আমি দরজায় দরজায় নক করেছি। কেউ আমাকে পাত্তেই দেয়নি। তারা ভেবেছে শিল্পী মানুষ কদিন নক করে নিজে থেকে নক করা বন্ধ করে দিবে। তারা চার বছর ধরে ইউজ করে আমাকে ঠকিয়েছে।’

অভিনেত্রী সোহানা সাবার বরাত দিয়ে তার আইনজীবী বলেন, গত ৪ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ৪২টি পর্ব তৈরি করেছেন। এগুলো তারা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী সাবার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করে উচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে। এটি দেশের আইন অনুযায়ী চুরিরও সামিল। ওই কনটেন্টগুলো থেকে আয় করা অর্থ তারা সাবাকে বুঝিয়ে দেয়নি। এ বিষয়ে অবগত হলে তাদের কাছে যাওয়ার পরও তারা সাবার কথা অগ্রাহ্য করে। সাবার পরিশ্রমের অবমূল্যায়ন করে তারা।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী