বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গ্যাস পেতে যাচ্ছে রংপুর-নীলফামারীবাসী

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২২ ২৩ ১১ ০২  

গ্যাস-পেতে-যাচ্ছে-রংপুর-নীলফামারীবাসী

গ্যাস-পেতে-যাচ্ছে-রংপুর-নীলফামারীবাসী

আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে রংপুর ও নীলফামারীবাসী পাইপ লাইনের মাধমে গ্যাসের সুবিধা পাবেন। প্রথম দফায় এই গ্যাস ব্যবহার করা হবে সিএনজি স্টেশন ও শিল্প উৎপাদনে। গ্যাসের মজুত বাড়লে আগামীতে আবাসিক সংযোগও পাবেন রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষ।

অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত সঞ্চালন পাইপলাইন বসানোর কাজ। এরপরই পীরগঞ্জ, রংপুর ও সৈয়দপুরে ৩টি স্টেশন থেকে আশপাশের জেলায় লাইন সম্প্রসারণ ও সাব-স্টেশন থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

এমন আশার কথা জানিয়েছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা।

প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এসএম আমির হোসেন জানান, ১ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর উত্তরা ইপিজেট পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইলাইনের মধ্যে ১৪৫ কিলোমিটার বসানো হয়ে গেছে। শুধু ৫ কিলোমিটার কাজ বাকি রয়েছে। এই ৫ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ২টি ক্যানেল ও ৬টি নদী। এরমধ্যে রংপুরে ৬টি নদী ও একটি ক্যানেল রয়েছে।

বগুড়া অংশের একটি ক্যানেলে পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। রংপুর অংশের একটি ক্যানেল ও ৬টি নদীতে পাইপলাইন বসানোর কাজ বাকি রয়েছে। আশা করছি আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এরপর আমরা পরীক্ষা করে আগামী বছরের জুন মাসে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ করতে পারবো।

বগুড়া থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মধ্যে ১৪৫ কিলোমিটার বসানো হয়ে গেছে। দুর্ঘটনাসহ ঝামেলা এড়াতে শহরের বদলে গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রধান সরবরাহ লাইন বসানো হয়েছে। পীরগঞ্জ, রংপুর ও সৈয়দপুরে ৩টি গ্যাস স্টেশন নির্মাণের কাজও চলছে সমান গতিতে। শুরুতেই ৩০টি পাইপলাইনে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন এমএমসি এফডি গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এরই মধ্যে অধিগ্রহণসহ ভূমিসংক্রান্ত সব প্রক্রিয়াও শেষের পথে।

রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, পাইপলাইন বসানোর অধিগ্রহণ করা জমি বুঝিয়ে দেওয়াসহ আমাদের যে পরিকল্পনাগুলো আছে তা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব শেষ হবে।

বগুড়া, রংপুর ও সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এসএম আমির হোসেন জানান, সৈয়দপুরের বিভিন্ন কারখানা, নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড, পীরগঞ্জ ও রংপুরের বিভিন্ন শিল্প ইউনিটে গ্যাস সরবরাহ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

তিনি আরো বলেন, এ স্টেশনের মাধ্যমে রংপুরে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এছাড়া সৈয়দপুরে যে স্টেশনটা হচ্ছে সেটার সাহায্যে উত্তরা ইপিজেড ও আশপাশের জেলায় গ্যাস যাবে। ফিলিং স্টেশন ও সিএনজি’র সুযোগ-সুবিধা পাবে। আর সরকার সুযোগ দিলে বাসাবাড়িতেও গ্যাস যাবে।

প্রকল্প পরিচালক (বিতরণ) ফজলুল করিম জানান, সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আমরা রংপুরে ৪৪ কিলোমিটার, সৈয়দপুরে ৪৬ কিলোমিটার ও পীরগঞ্জে ১০ কিলোমিটার বিতরণের কাজ শুরু করতে পারিনি বিভিন্ন কারণে। দরপত্রসহ আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে বিতরণ লাইনের কাজ শুরু হবে। এরপর গ্যাসের সুবিধা পাবে মিল কারখানাগুলো।

২০১৮ সালে শুরু হওয়া কাজটি চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার সময় বন্ধ ছিল। এরপর ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী