শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গুরবাজ তাণ্ডবে ১০০ পার করল আফগানরা 

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১ ০৯ ০১  

গুরবাজ-তাণ্ডবে-১০০-পার-করল-আফগানরা 

গুরবাজ-তাণ্ডবে-১০০-পার-করল-আফগানরা 

জমজমাট লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের লড়াই। আজ থেকে শুরু হলো সুপার ফোর পর্ব। যেখানে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি বি গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ দুই দল শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। যেখানে এরইমধ্যে গুরবাজ তাণ্ডবে ১০০ পার করল আফগানরা

দারুণ ছন্দে থাকা আফগানিস্তান শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায়। ২৯ বলে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। হজরতউল্লাহ জাজাই মধুশঙ্কার বলে বোল্ড হন ১৬ বলে ১৩ রান করে। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান তোলে আফগানরা।

এরপরই যেন খোলস তেকে বেড়িয়ে আসে গুরবাজ। তার ৩৭ বলে ৭২ রানে ভর করে আফগানিস্তান শতক পার করে।  

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তান ১৪ ওভারে ১ উইকেটে ১৩২ রান সংগ্রহ করে। গুরবাজ ৭৫ ও ইব্রাহিম জাদরান ২৯ রানেব্যাট করছেন। 

শুরুতেই টস পর্ব। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলংকান অধিনায়ক দাসুন শানাকা।
আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা ছাড়াও সুপার ফোরে উঠে এসেছে ভারত ও পাকিস্তান। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে সুপার ফোরে চার দল একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। পয়েন্ট তালিকার সেরা দুই দল যাবে ফাইনালে। 

লংকানদের জন্য আজকের লড়াইটা প্রতিশোধের। আর আফগানিস্তানের চ্যালেঞ্জ দাপট ধরে রাখার। দুই ম্যাচে তারা যেভাবে পারফরম্যান্স করেছে তাতে ক্রিকেটবোদ্ধারা ভারত ও পাকিস্তানকেও সতর্ক থাকতে বলেছেন। 
আফগানদের পারফরম্যান্সে এবার শিরোপার অন্যতম দাবিদার ভাবা হচ্ছে তাদের। কিন্তু দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী এত দূর চিন্তা করছেন না।

নবী বলেছেন, ‘ফাইনাল অনেক দূরের চিন্তা। আমাদের সামনে প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। যাদেরকে নিয়েই আমরা ভাবছি। আমরা তাদের হারালেও সতর্ক। কারণ তারা বাংলাদেশকে হারিয়ে এখানে এসেছে। জয়ের চিন্তা করছি। সেভাবেই নিজেদের উজার করে দেব।’ 

প্রথম ম্যাচ আফগানদের কাছে হেরে লংকানরা পথ ভুলেছিল। বাংলাদেশকে হারিয়ে আবার ফিরে এসেছে দারুণভাবে। দলটির অধিনায়ক দাসুন শানাকার কণ্ঠে প্রতিশোধের ভাষা নেই। বরং আফগানিস্তানকে সমীহ করে এগিয়ে যাওয়ার জয়গানই গাইছেন তিনি।

শানাকা বলেন, ‘আফগানিস্তান কতটা শক্ত প্রতিপক্ষ আমরা দেখেছি। আমাদেরকে বাড়তি সতর্কতা দেখাতেই হবে। এই ম্যাচটি আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। ছেলেরা জিততে আত্মবিশ্বাসী। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি নিজেদের ভুলগুলো শুধরে সামনে এগিয়ে যেতে পারব।’   

পরিসংখ্যানের বিচারে এখনো এগিয়ে আছে লংকানরা। কিন্তু অভিজ্ঞতায় আফগানিস্তান টইটুম্বুর। নবী, রশিদ, মুজিব, নাজিবুল্লাহ নিজেদের দিনে সেরা। অন্যদিকে শানাকা, মেন্ডিস, কুরুনারত্নে, রাজাপাকসে অভিজ্ঞতার বিবেচনায় পিছিয়ে থাকলেও শক্তি ও সামর্থ্যে সমানে সমান।

আজকের লড়াইটা একপেশে না হয়ে জমজমাট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেই অনুমান করা যায়। নিজেদের সামর্থ্য অনুসারে কেউ কাউকে ছাড় দেবে না বলেই ধরে নেয়া যায়। কারণ এ পর্বে যে দল জিতবে তারাই ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাবে একধাপ।
 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী