কোরিয়ানদের মতো সবুজ যৌবন পেতে মানতে হবে সহজ ৭ টিপস

টেলিভিশন অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপন ও ঐতিহ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে কোরিয়ানরা সৌন্দর্যচর্চা করে থাকেন। এখানে সৌন্দর্যচর্চার মূল উদ্দেশ্যই ফর্সা, কাঁচের মতো উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া।  ঋতু অনুযায়ী বদলে যায় তাদের ত্বকচর্চার ধরণও।

সত্যিই, সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে কোরিয়ান রূপচর্চা নিয়ে না বললেই নয়। তাদের নিখুঁত ত্বক যেন চিনামাটিকেও হার মানায়। আর সেই কারণেই তাদের ত্বককে বলা হয় 'পোর্সেলিন স্কিন'। তাদের স্কিন কেয়ার এবং মেকআপের রহস্য সবাই জানতে চান। ঠিক কী করলে এমন কাঁচের মতো ত্বক পাওয়া সম্ভব?

প্রতিনিয়ত রূপচর্চা: প্রতিদিন, নিয়ম করে কিছুক্ষণ রাখতে হবে ত্বকের পরিচর্যার জন্য। এর মধ্যে সাধারণ ক্লেনজিং, টোনিং, ময়েশ্চরাইজিং তো আছেই। এর পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের ধরণ অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রাতে শোবার আগে এর জন্য ১৫ মিনিট বরাদ্দ রাখতে হবে। সপ্তাহে ১-২ দিন স্ক্রাবিং করুন।

প্রচুর পানি পান: আগামী ১০ দিন নিয়ম করে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। কথা দিচ্ছি, কয়েকদিন যেতেই ত্বকে পার্থক্যটা টের পাবেন। আসলে যতই ময়েশ্চরাইজার মাখুন, আপনি নিজে ডিহাইড্রেটেড হলে, তাতে কাজ হবে না। এর জন্য শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখুন।

প্রতিদিন ব্যায়াম: কোরিয়ান সমাজে অনেকেই তন্বী থাকতে পছন্দ করেন। নিয়মিত কার্ডিও, ওয়েট ট্রেনিং ইত্যাদি করেন তারা। আপনি কি জানেন, ব্যায়াম শুধু শরীর নয়, ত্বকের জন্যও দুর্দান্ত! এটি রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি করে। ফলে ত্বক আরও সুন্দর দেখায়।

কোরিয়ান মেকআপ ট্রেন্ড: কোরিয়ানরা হালকা প্রাইমারের ভক্ত। ত্বকের আসল রঙটাই তুলে ধরতে চান তারা। কোনো লাইট ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত হাইলাইট ব্যবহার করবেন না। ডে লুকে-র জন্য লিপস্টিক নিউড বা প্যাস্টেল শেডে রাখুন।

প্রসাধনী নিয়ে সমঝোতা নয়: কোনো অনামী নতুন প্রোডাক্ট নয়। প্রসাধনী সবসময়ে ভাল, দামী দেখেই কিনুন। এই নিয়ে একটুও আপোস করা চলবে না।

বিশেষ কিছু প্রোডাক্ট: কোরিয়ান বিউটি ভ্লগারদের কিছু প্রোডাক্ট প্রায়শই ব্যবহার করতে দেখা যায়। তার মধ্যে রয়েছে- ভিটামিন সি সিরাম, ত্বকের ধরণ অনুযায়ী মাস্ক, পিম্পেল প্যাচ, ভাল মানের টোনার, স্ক্রাব। ফলে সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

খাওয়াদাওয়ায় নজর দিন: সুন্দর ত্বক থাকা কোরিয়ান নারীদের আরও একটি রহস্য জানেন? তাদের খাদ্যাভ্যাস। কিমবাপ হোক বা, কিমচি(বাঁধাকপির)- বেশিরভাগ জনপ্রিয় কোরিয়ান খাবারেই বিভিন্ন ধরণের সবজি থাকে। এর ফলে তাঁদের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব হয় না।