রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |  আশ্বিন ৬ ১৪৩১ |   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

২১ আগস্টের ঘটনা সুপরিকল্পিত: হানিফ

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২ ২৩ ১১ ০২  

২১-আগস্টের-ঘটনা-সুপরিকল্পিত-হানিফ

২১-আগস্টের-ঘটনা-সুপরিকল্পিত-হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ২১ আগস্টের ঘটনা সুপরিকল্পিত। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য জঙ্গিদের নিয়ে হাওয়া ভবনে মিটিং করেন তারেক। মুফতি হান্নানের ভাই মাওলানা তাইজুদ্দিন পাকিস্তান থেকে হামলার গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন।

বুধবার আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন। ৭১ এর গণহত্যা এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ২৬ হাজার নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ৭১ এর ঘটনায় জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে, বিএনপিরও রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ৭৫ পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা। মূলত এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে দমন করা। যাতে বিএনপির আমলের লুটপাটের কোনো জবাবদিহিতা না করতে হয়। মির্জা ফখরুল নাকি শিক্ষক ছিলেন। উচ্চশিক্ষিত লোক কিভাবে বিএনপির রাজনীতি করেন, আমার বুঝে আসে না।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২১ আগস্টের মতো এরকম ঘটনা পৃথিবীতে আর ঘটেছে বলে মনে হয় না। মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির অনেক নেতা এই ঘটনার সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করলেন। অবাক হয়ে যেতে হয়। রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার তারা হারিয়ে ফেলেছেন।

আইভি রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আইভি রহমানকে আমি হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। সে এক বীভৎস, রোমহর্ষক দৃশ্য। এই হামলা করেছিল বিএনপি-জামায়াত। হামলার পর পরই আমাদের ওপর লাঠিচার্জ-আক্রমণ শুরু হয়। যাতে বোমা হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারেন। ঘটনাস্থলে দ্রুত সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এনে পানি দিয়ে ধুয়ে আলামত নষ্ট করে ফেলে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এমন বীভৎস হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংসদে পর্যন্ত খালেদা জিয়া মশকরা করলেন। তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, শেখ হাসিনা নিজেই নাকি ব্যাগে করে ঘটনাস্থলে বোমা নিয়ে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় প্রবল চাপে বিএনপি-জামায়াত সরকার বিচারপতি জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করলো। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েই তামাশাপূর্ণ দায় এড়ানো বক্তব্য দিলেন যে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র এ ঘটনায় জড়িত। এরপর আসামি গ্রেফতার হয়েছে বলে সাজানো হলো জজ মিয়া নাটক।

এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতিমা আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর