রাজনৈতিক লক্ষ্য নেই বিএনপির

বিএনপির লক্ষ্য নিয়ে এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি রাজনৈতিক দলের যে ধরনের কর্মকাণ্ড এবং প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা বিএনপির নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষমতায় আসার জন্য একটি দলকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রথমেই দলের নেতৃত্ব সঠিক হতে হয়, কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হয় এবং কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে সে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হয়। 

তবে বিএনপির মধ্যে এ ধরনের কোনো তৎপরতাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বিএনপির না আছে কমিটি, না আছে নেতৃত্ব। ফলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যে ক্ষমতায় আসার রাজনীতি করছে , সেটি ভাবার কোন কারণ নেই। 

তর্কের খাতিরে যদি আমরা ধরেও নেই যে, বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়ন করতে চায় তাহলেও প্রশ্ন আসে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা কী? এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি কীভাবে কাজ করবে? কীভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করবে? আন্দোলনের রূপরেখাই কী? এসব প্রশ্নের কোনো উত্তরও বিএনপি নেতাদের জানা নেই।

বিএনপির নেতারাই বলছেন, তাদের ওপর লন্ডন থেকে ওহী নাযিল হয় এবং এই ওহীর ভিত্তিতে বিএনপির নেতারা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। যেখানে যেটি করতে বলা হয়, সেটি করা হয়। এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, বিএনপি আসলে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আর নেই। ফলে এখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে কিভাবে সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। বিএনপির নেতারাও স্বীকার করেন যে, ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন বিএনপির নেতাদের নেই। বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়ও না এখন, এমনটি মনে করছেন বিএনপির অনেক নেতা। 

তারা বলেছেন, এখন বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এ প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

খালেদা জিয়া এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। একইভাবে অযোগ্য হয়েছেন তারেক জিয়াও। এ রকম বাস্তবতায় আগামী নির্বাচনে বিএনপির নেতা কে হবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আর এসব বাস্তবতার কারণেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি এখন আর ক্ষমতায় আসতে চায় না। বরং তারা রাজনীতিতে তৃতীয় পক্ষকে ক্ষমতায় আনতে চায়। 

এ কারণে রাজনৈতিক আন্দোলনের যে ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অপপ্রচার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে বিএনপি। তারা এমন একটি পরিকল্পনা নিয়েছে, যাতে দেশ অস্থির হয়ে ওঠে। 

এ কারণেই তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অভিযোগ করছে এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে কথা বলছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।