শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ |  কার্তিক ৩০ ১৪৩১ |   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতিতে ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছে জাতীয় পার্টি

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২২ ১৬ ০৪ ০২  

রাজনীতিতে-ক্রমশ-গুরুত্ব-হারাচ্ছে-জাতীয়-পার্টি

রাজনীতিতে-ক্রমশ-গুরুত্ব-হারাচ্ছে-জাতীয়-পার্টি

দেশের রাজনীতিতে ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছে জাতীয় পার্টি। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ থেকে শুরু করে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির কাছে নাম প্রস্তাবসহ অন্যান্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলেও দলটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তেমন আলোচনা হয় না।

ক্ষমতায় থেকে জন্ম নেয়া এ দলটি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্ব মেনে চলতো। কিন্তু এরশাদের মৃত্যুর পর বর্তমান পরিস্থিতিতে দলটি আর কতদিন টিকবে, সেটি একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটি আগের মতো সুবিধা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো দলের টিকে থাকার প্রধান শর্ত হলো একজন নেতা। যে নেতা জাতীয়ভাবে এবং দলের মধ্যে গ্রহণযোগ্য হবেন। হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি নয় বছর দেশ শাসন করেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে নিয়ে সমালোচনা-আলোচনা যাই হোক না কেন, তিনি একজন জাতীয় নেতার গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন। তার পিছনে একটি বড় সমর্থকগোষ্ঠীও ছিল।

আর এরশাদের হাত ধরেই জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের রাজনীতিতে এসেছেন। কিন্তু জনগণকে আন্দোলিত করার মতো নেতৃত্বগুণ তার নেই বলে মনে করেন অনেকে।

আরো পড়ুন> জামায়াতকে নিয়ে বিএনপির স্পষ্ট অবস্থান জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

অন্যদিকে ৭৮ বছর বয়সী এরশাদপত্নী সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ শারীরিকভাবে অসুস্থ। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এখন পদচারণা নেই বললেই চলে। সবমিলিয়ে দলটি ভুগছে তীব্র নেতা সংকটে। 

জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যারা আছেন তারা সবাই সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চান। তারা সরকারের আস্থাভাজন হয়ে সুবিধাভোগী হয়ে জীবন কাটাতে চান। এমন বাস্তবতায় জাতীয় পার্টি সংগঠন হিসেবে এরই মধ্যে সংকটে পড়েছে। দলটির ২৭টি জেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এর পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রায় সবকটি কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। সাংগঠনিক কার্যক্রমে জাতীয় পার্টির অবস্থান কোথায়, সেটি নিয়ে জাতীয় পার্টির মধ্যেই নানারকম সমালোচনা রয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছে বটে, কিন্তু অদৃশ্য কারণে তাদের মনোনীত অধিকাংশ প্রার্থীই নির্বাচন ঘনিয়ে এলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। আর্থিক সুবিধা নিয়ে তারা নির্বাচন থেকে সরে পড়েন বলে অভিযোগও আছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টি এখন আর রাজনৈতিক সংগঠন নয়, বরং ধীরে ধীরে একটি পারিবারিক ক্লাবের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Provaati
দৈনিক প্রভাতী
এই বিভাগের আরো খবর