সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যেতে পারেন সীতাকুণ্ডের সহস্রধারায়

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩ ০১ ০১  

যেতে-পারেন-সীতাকুণ্ডের-সহস্রধারায়

যেতে-পারেন-সীতাকুণ্ডের-সহস্রধারায়

সম্পর্কিত খবর ভ্রমণে তাবুবাস নিয়ে কিছুকথা পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সৌন্দর্য। আরো বেশি সৌন্দর্য, পাহাড়ের পেটে ঝরা ঝর্ণায়। যা চোখ ধাঁধানো, মন জুড়ানো। এমন একটি মন জুড়ানো ঝর্ণা সীতাকুণ্ডের সহস্রধারা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় চন্দ্রনাথ রির্জাভ ফরেস্টের চিরসবুজ বনাঞ্চলের গড়ে তোলা হয়েছে সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক। আর এই সীতাকুণ্ড ইকোপার্কের শোভাবর্ধনকারী অনন্য এক প্রাকৃতিক নিদর্শনের নাম সহস্রধারা ঝর্ণা। সারা বছর এই ঝর্ণায় অনেক কম পানি থাকলেও বর্ষাকালে সহস্রধারা ঝর্ণার পূর্ণরূপের দেখা মিলে। তাই বর্ষায় এই ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী এসে ভীড় করেন সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে।

অসাধারণ পাহাড়ি পথ, অগণিত সিঁড়ি আর গুটিকয়েক ঝিরিপথ পাড়ি দিয়ে সামনে এগুলেই চোখে পড়বে সীতাকুণ্ড ইকোপার্কের ভেতরকার চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশের অসাধারণ সৌন্দর্যের এই ঝর্ণাটি। এই সুউচ্চ ঝর্ণার সৌন্দর্যের সঙ্গে সবুজ অরণ্যের হাতছানি আর পাহাড়ি পথচলার ক্লান্তি আপনাকে নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভান্ডার সহস্রধারা ঝর্ণা। ছবি : সংগৃহীত

সহস্রধারা ঝর্ণার খুব কাছেই আছে সুপ্তধারা ঝর্ণা নামে আরো একটি জলপ্রপাত। এ যেন সবুজ অরণ্যের বুকে সুবিশাল জলধারা। দারুণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভান্ডার। এখানে গেলে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আদ্যোপান্ত উপভোগ করে আসতে পারবেন তাতে সন্দেহ নেই।

আরো পড়ুন : শীতে ভ্রমণ হোক রাঙামাটিতে

যেভাবে যাবেন

সীতাকুণ্ড ইকো পার্কেই সহস্রধারা ঝর্ণার অবস্থান। ঢাকা থেকে সড়ক পথে সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক আসতে এস.আলম, সৌদিয়া, গ্রীনলাইন, সিল্ক লাইন, সোহাগ, বাগদাদ এক্সপ্রেস, ইউনিক ইত্যাদি পরিবহণের বিভিন্ন এসি, ননএসি বাস পাবেন। এইসব বাসগুলো মূলত ঢাকা সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তবে সবগুলো বাসই প্রয়োজন অনুযায়ী সীতাকুণ্ডে থামে। সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে বাসে চড়ে আসলে সীতাকুন্ড বাস স্টপেজ থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ফকিরহাট নামক জায়গায় বাস থেকে নামতে হবে।

সহস্রধারা ঝর্ণা যেন সবুজ অরণ্যের বুকে সুবিশাল জলধারা। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা টু চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ঢাকা মেইল ট্রেনটিই শুধু সীতাকুণ্ড রেলস্টেশনে থামে। ঢাকা থেকে রাত ১১ টায় যাত্রা শুরু করে পরদিন সকাল ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে ট্রেনটি সীতাকুণ্ডে পৌঁছায়। আর যদি আন্তঃনগর ট্রেনে আসতে চান তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো আন্তঃনগর ট্রেনে চড়ে ফেনী স্টেশনে নেমতে হবে। সেখান থেকে ১০-১৫ টাকা অটো বা রিকশা ভাড়ায় মহিপাল বাসস্ট্যান্ড আসুন। মহিপাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০ থেকে ৮০ টাকা ভাড়ায় লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড যেতে পারবেন।

আরো পড়ুন : সোনার চর : চকচকে সেই বালুকাবেলা যেন এক সোনার থালা

কোথায় থাকবেন

সীতাকুণ্ড বাজারে কয়েকটি মাঝারি মানের আবাসিক হোটেল আছে। এছাড়া এখানে টেলি-কমিউনিকেশনের অধীনস্থ একটি ডাকবাংলো আছে। অনুমতি নিয়ে সেখানে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। এছাড়া রাত্রিযাপনের জন্য চট্টগ্রামে চলে যেতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর