বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের নাম শুনলেই হাসে জনগণ

গণতন্ত্রের নামে নানাভাবে ইস্যু তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি বিএনপির জন্য নতুন নয়। সরকারের ইতিবাচক দিকগুলোকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে প্রতিনিয়ত তারা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কোনো ইস্যুতে বিফল হলেই গণতন্ত্রবিরোধী এই দলটি গণতন্ত্রের আউড়াতে শুরু করে। এ বিষয়ে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখা গেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবীর রিজভী, খন্দকার মোশাররফসহ একাধিক নেতৃত্বকে।

ফখরুল ও রিজভীদের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিদেশে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপি নেতারা যখনই আন্তর্জাতিক মহলে নিত্যনতুন গুজব ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন, তখনই তাদের মুখে শোনা গেছে নালিশের ফুলঝুরি। দলীয় নেতাকর্মীদের কার্জকলাপ ও দলের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় স্বাধীনতাবিরোধী এই দলের নেতাদের মুখে তাই গণতন্ত্রের নাম শুনলেই জনগণের হাসি পায়।

মুক্তিযুদ্ধের সংরক্ষিত দলিল বলছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিরুদ্ধে গুপ্তচর হয়ে তথ্য পাচার, আইএসআই এর এজেন্ডা বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে, পাকিস্তানের তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা কর্নেল বেগের মেজর জিয়াকে লেখা চিঠিতে। একই সঙ্গে পরবর্তীতে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে সরাসরিভাবে জড়িত ছিলেন মেজর জিয়া।

জিয়ার কর্মকাণ্ডকে যখন দেশবিরোধী ও মানবতাবিরোধী বলেছিল তৎকালীন আন্তর্জাতিক মিডিয়া, তখন স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে তার দলেরই নেতাকর্মীরা এসব অপরাধকে দেশপ্রেমের স্বীকৃতি দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বিএনপির নেতৃস্থানীয়দের এমন মিথ্যাচারের ব্যাপারে জানতে চাইলে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা গণতন্ত্রের ব্যাখ্যা জানেন না। এ বিষয়ে তাদের কোনো ধারণাই নেই। কারণ তারা যেই দল করেন, সেই দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জন্ম হয়নি। জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন।