বিএনপির অবস্থা প্যারালাইজড রোগীর মতো

বিএনপির অবস্থা যেন প্যারালাইজড রোগীর মতো। চেতনা আছে, কিন্তু কর্ম সাধনের ক্ষমতা নেই।

সূত্র জানায়, রাজনীতিতে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত এবং ব্যর্থতা বিএনপিকে এখন অস্তিত্ব সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ভুলের কারণে রাজনীতিতে বিএনপির টিকে থাকাই এখন দায় হয়ে পড়েছে। অবস্থার পরিবর্তন না হলে বিএনপি এমন পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারবে না বলে মনে করছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা।

সদ্য বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে আসা একাধিক নেতা বলেন, বিএনপির সৃষ্টি নিয়ে রাজনীতিতে সমালোচনা থাকলেও খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসার কারণে এক সময় দেশের মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করতো। কিন্তু খালেদা জিয়াও যখন জিয়াউর রহমানের মতো সংঘাত ও স্বাধীনতাবিরোধী রাজনীতি চর্চা শুরু করেন, মানুষ তখন তার এবং বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। জিয়া বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী ও সুবিধাবাদীদের আড্ডাখানায় পরিণত করেছিলেন। তিনি রাজনীতিকে ‘ডিফিকাল্ট’ করার নামে রাজনীতিতে কালো টাকা, পেশি শক্তি, সন্ত্রাসের প্রবেশ ঘটিয়েছিলেন। সেই একই পথে হেঁটে দলটিকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। এর ফলে ধীরে ধীরে বিএনপির প্রতি মানুষের ঘৃণা সৃষ্টি হয়। মানুষ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি ও এর নেতৃত্বকে।

তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান, পাকিস্তানি ঘরানার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করার কারণে জনগণও বিএনপিকে দেশবিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিএনপিকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিয়েছেন দলটির দুই শীর্ষ নেতা। খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা ও তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থানের কারণে রাজনীতিতে বিএনপির ভূমিকা যেমন ক্ষুণ্ন হয়েছে, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং লক্ষ্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে।