বিএনপিতে এবার শাস্তির কবলে দুই সংসদ সদস্য

দলের রাজনৈতিক নানা সমীকরণ ও কৌশলের কারণে সম্প্রতি বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকে শাস্তি পেতে হয়েছে। এবার এর বলি হতে যাচ্ছেন বিএনপির দুজন সংসদ সদস্য (এমপি)।

বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, যে দুজন শাস্তি পেতে যাচ্ছেন তারা হলেন হারুনুর রশিদ এবং রুমিন ফারহানা। 

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিলে অংশগ্রহণ করা, বিলে সংশোধনী আনা এবং বিলের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করার কারণে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন>>> অসুস্থ মাকে নিয়ে তারেকের রহস্যময় রাজনৈতিক কৌশল

দলের পক্ষ থেকে খুব শিগগিরই তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইনকে শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। এ নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপেও বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপি বলছে যে, নির্বাচন কমিশন আইন নয়, তারা চায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং এ দাবি ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে তাদের আগ্রহ নেই।

বিএনপির পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচন কমিশন আইনকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, যখন আইনটি মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপিত হয় তখনই। অথচ বিএনপির দুইজন সংসদ সদস্য এ আইন নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা করেছেন, তারা এর সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছেন। রুমিন ফারহানা এবং হারুনুর রশিদের একাধিক সংশোধনী প্রস্তাব এ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন>>> তালেবানকে হুমকি দিলেন বাইডেন

একদিকে যখন বিএনপি পুরোপুরিভাবেই এ আইনি প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করছে, তখন এ আইনটিকে জায়েজ করার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন বিএনপির এ দুই সংসদ সদস্য। তবে এ দুই সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, তাদের ওপর কোনো নির্দেশনা ছিল না। নির্দেশনা না থাকার কারণে তারা সংশোধনী দিয়েছেন এবং আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন।

তবে গত কিছুদিন ধরেই বিএনপির বিপরীতে কোনো নেতার অবস্থান থাকলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর আগে, তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছিলেন। নির্বাচনের পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তাই এবারও দলের রাজনৈতিক নানা সমীকরণ ও কৌশলের কারণে একইভাবে বিএনপির এ দুই নেতা শাস্তি পেতে যাচ্ছেন বলেও বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।