সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশ-ভারতে চলাচলকারী ৩ ট্রেনের তথ্য ও ভাড়া

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২২ ১৫ ০৩ ০২  

বাংলাদেশ-ভারতে-চলাচলকারী-৩-ট্রেনের-তথ্য-ও-ভাড়া

বাংলাদেশ-ভারতে-চলাচলকারী-৩-ট্রেনের-তথ্য-ও-ভাড়া

ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের কাছে ভারত বেশ জনপ্রিয়। ভারতের সবচেয়ে বেশি পর্যটক যায় বাংলাদেশ থেকে। ২০১৯ সালে সে দেশের বিদেশি পর্যটকদের শতকরা ২০ ভাগই ছিলো বাংলাদেশি। এসব পর্যটকরা বিমান, বাস ও ট্রেন ব্যবহার করেই ভারত যান। তবে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ট্রেন বেশ জনপ্রিয়।

চলুন বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো সম্পর্কে জনেে নিই-

মিতালী এক্সপ্রেস (ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা)

দার্জিলিং-সিকিমের জন্য জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যের চালু হচ্ছে মিতালী এক্সপ্রেস। সপ্তাহে চারদিন এ ট্রেন চলবে। ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে মিতালী এক্সপ্রেস ছাড়বে প্রতি রবি ও বুধবার। আর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়বে প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার। যাত্রাপথে ভারতের হলদিবাড়ি এবং বাংলাদেশের চিলাহাটি স্টেশনে থামবে মিতালী এক্সপ্রেস।

ভাড়া: ট্রেনে চারটি এসি বার্থ এবং চারটি এসি চেয়ার কোচ থাকবে। এছাড়া ব্রেকভ্যানসহ দুটি পাওয়ার কারও রয়েছে। সব মিলিয়ে ‌১০টি কোচ থাকবে। সেখানে ১৪৪ এসি সিট, ৩১২ এসি চেয়ার এবং ৯৬টি এসি বার্থ থাকছে। এসি বার্থ সিটের ভাড়া হবে বাংলাদেশি টাকায় ৪ হাজার ৯০৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৩ হাজার ৮০৫ টাকা এবং এসি চেয়ার শ্রেণির প্রতি যাত্রীর ভাড়া হবে ২ হাজার ৭০৫ টাকা। এর মধ্যে ট্রাভেল ট্যাক্স অন্তর্ভূক্ত।

সময়সূচি: ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ৯:৫০ মিনিটে, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রাত ১১:৪৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়)।

মৈত্রী এক্সপ্রেস (ঢাকা-কোলকাতা-ঢাকা)

রেলপথে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে যাতায়াত করার অন্যতম বাহন হচ্ছে মৈত্রী এক্সপ্রেসস। যদিও ঢাকা হতে কলকাতা যাওয়ার সরাসরি বাস ও বিমান পরিষেবা চালু আছে; তথাপি ট্রেন হল কম খরচে কলকাতা যাওয়ার সহজ ও আরামদায়ক একটি মাধ্যম।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে কোলকাতা স্টেশন (চিতপুরের) মধ্যে চলাচল করে এ ট্রেন। ট্রেনের জন্য বাই ট্রেন গেদে পোর্ট নির্বাচন করতে হয়। ঢাকায় ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ও কলকাতার কলকাতা স্টেশনে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়।

ভিসা পাওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রেনের টিকেট কাটা যাবে না। টিকেট পাওয়া যায় বাংলাদেশে কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে এবং ভারতের ফেয়ারলী প্যালেস ও কোলকাতা স্টেশনে।

ভাড়া: এসি চেয়ার/স্নিগ্ধা ২,৫০০ টাকা ও এসি সিট/বার্থ ৩,৪০০ টাকা। এর মধ্যে ট্রাভেল ট্যাক্স অন্তর্ভূক্ত। ১-৫ বছরের শিশুদের ৫০% ভাড়া লাগবে।

সময়সূচি: ঢাকা থেকে ছাড়ে প্রতি শুক্রবার, শনিবার, রবিবার, মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ৮:১৫ মিনিটে। সকাল ৬ টা ১৫ মিনিট থেকে ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে ষ্টেশনে ইমিগ্রেশন শুরু হয়। ওয়েটিং লাউঞ্জ থেকে বহিগমন কার্ড সংগ্রহ ও পুরণ করে মূল ইমিগ্রেশন শেষ হলেই কেবলমাত্র ষ্টেশনের প্লাটফরমে যেতে পারবেন।

কলকাতা থেকে ছাড়ে সকাল ৭:১০ মিনিটে। প্রতি শুক্রবার, শনিবার, সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার। যাওয়ার টিকিট কাটা যাবে ২৯ দিন আগে আর আসার টিকেট চার দিন আগে কাটা যাবে। সাপ্তাহিক বন্ধ বৃহস্পতিবার।

বন্ধন এক্সপ্রেস (খুলনা-কলকাতা-খুলনা)

খুলনা থেকে কলকাতা চলাচল করে বন্ধন এক্সপ্রেস। খুলনা স্টেশন থেকে কলকাতা স্টেশন (চিতপুরের) মধ্যে চলাচল করে এ ট্রেন। ট্রেনের জন্য বাই ট্রেন পেট্রোপোল পোর্ট নির্বাচন করতে হয়।

বাংলাদেশের অংশে বেনোপোল স্টেশনে ও ভারতের অংশে কলকাতার কলকাতা স্টেশনে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়। ভিসা পাওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রেনের টিকেট কাটা যাবেনা। টিকেট পাওয়া যায় খুলনা রেলস্টেশনে এবং ভারতের ফেয়ারলী প্যালেস ও কলকাতা স্টেশনে।

ভাড়া: এসি চেয়ার/স্নিগ্ধা ১,৫০০ টাকা ও এসি সিট/বার্থ ২,০০০ টাকা। এর মধ্যে ট্রাভেল ট্যাক্স অন্তর্ভূক্ত।

সময়সূচী: খুলনা থেকে প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার ছাড়ে দুপুর ১:৩০ মিনিটে, কলকাতা থেকে প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৭:১০ মিনিটে। 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর