শনিবার   ১৮ মে ২০২৪ |  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১ |   ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বাংলাদেশ থেকেই দেখা যাবে ‘রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড’

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২ ১৬ ০৪ ০২  

বাংলাদেশ-থেকেই-দেখা-যাবে-রেডিয়েন্ট-ফিশ-ওয়ার্ল্ড

বাংলাদেশ-থেকেই-দেখা-যাবে-রেডিয়েন্ট-ফিশ-ওয়ার্ল্ড

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায়  আছে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড। পর্যটকদের নিরাপদ বিনোদন স্পষ্ট। এখানেই দিন দিন বাড়ছে নারী-পুরুষ এবং শিশু পর্যটক।

সাগরতলের রহস্য জানতে দেখে আসুন কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায় অবস্থিত রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড। এখানেই পর্যটকেরা মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য হারিয়ে যায়  সাগরের ভেতরের সৌন্দর্য উপভোগ এবং  রহস্য অনুসন্ধানে। এতেই মেলে বাড়তি আনন্দ। পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায় ফিস অ্যাকুরিয়াম (Aquarium) এবং ফিশ মিউজিয়াম। 

অ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্সে আছে সাগরের নোনা ও মিঠা পানির প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ। বিরল প্রজাতির মাছসহ এখানে আছে হাঙ্গর, পিরানহা, শাপলাপাতা, পানপাতা, কাছিম, কাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈল, পিতম্বরী, সাগর কুঁচিয়া, বোল, জেলিফিস, চেওয়া, পাঙ্গাস, আউস সহ আরো অনেক মাছ ও জলজ প্রাণী। এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুকুর ও সাগরের তলদেশের বৈচিত্রময় পরিবেশ। ভেতরের সুন্দর ডেকোরেশন ও চমকপ্রদ মনোম্যান্ট  অ্যাকুরিয়ামটিকে আরো নান্দনিক করে তুলেছে। এই অ্যাকুরিয়ামে ঢুকলে মনে হবে আপনি সাগরের তলদেশে আছেন, আর আপনার চারপাশে খেলা করছে বর্ণিল প্রজাতির নানা মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণী। ইচ্ছে করলে দেখতে পারবেন থ্রিডি শো। পুরো অ্যাকুরিয়ামটি ভালো করে ঘুরে দেখতে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘন্টা।

‘রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড’। ছবি: দৈনিক প্রভাতীরেডিয়েন্ট ফিশ অ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্সটিকে সর্বমোট ৮টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ৮টি জোনের মধ্যে রয়েছে থ্রি-নাইন ডি মুভি দেখার নান্দনিক স্পেস, দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখি, ছবি তোলার আকষর্ণীয় ডিজিটাল কালার ল্যাব, কেনাকাটা করার জন্য দোকান- যেখানে হস্তশিল্পসহ অনেক ধরনের জিনিস পাবেন, লাইভ ফিশ রেস্টুরেন্ট, প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের জন্য খেলাধুলার জোন, বিয়ে বা পার্টি করার
হল ও ছাদে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার পাশাপাশি আয়োজন করা যাবে বার-বি কিউ। এছাড়া রয়েছে সুপরিসর পার্কিং ও লাগেজ রাখার লকার। এখানেই এসে কোনরকম বিরক্তি ছাড়াই কীভাবে নিমিষেই ৪ থেকে ৫ ঘন্টা কেটে যাবে বঝেই উঠতে পারবেন না। পুরো সেন্টার নিরাপত্তা বেষ্টনী সিসিটিভির আওতায় সর্বক্ষণ নিরীক্ষণ করা হয়।

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড, মালয়েশিয়ার টেকনিক্যাল প্রকৌশলির সহায়তায় নির্মিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের এই অ্যাকুরিয়াম নির্মাণে সময় লেগেছে দুই বছর। এই অ্যাকুরিয়ামে বঙ্গোপসাগরের থাকা বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মৎস্য সংক্ষণ করা হয়েছে। অচেনা এবং বিলুপ্ত প্রায় অনেক মাছও রয়েছে। সাগরের বিলুপ্ত মাছ বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণে একটি জাদুঘরও করা হচ্ছে। এটা শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এটি সাগরের জীববৈচিত্র ও প্রাণী সম্পর্কে জানার একটি শিক্ষা কেন্দ্রও।

প্রবেশ ফি: এই ফিশ ওয়ার্ল্ডে প্রবেশের ফি ৩০০ টাকা। এছাড়া থ্রিডি শো এর টিকেট মূল্য ৫০ টাকা। সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্যে খোলা থাকে।

যেভাবে যাবেন: রেডিয়েন্ট ফিস অ্যাকুরিয়াম দেখতে কক্সবাজারের যেকোন জায়গা থেকে সিএনজি/ইজিবাইক/অটোরিক্সা দিয়ে যেতে পারবেন। কলাতলী বীচের সড়কেই পাবেন সব যানবাহন। কলাতলী থেকে ইজিবাইক রিজার্ভ নিলে ভাড়া নিবে ৫০-৭০ টাকা। লোকাল ইজিবাইকে ১৫-২০ টাকা দিয়েই চলে যেতে পারবেন ঝাউতলা।

ছবি: দৈনিক প্রভাতীযেখানে থাকবেন: কক্সবাজারে প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেষ্ট হাউস, রেষ্ট হাউস  বা কটেজ আছে। এদের মধ্যে মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সায়মন বিচ রিসোর্ট, ওশেন প্যারাডাইজ, লং বিচ, কক্স টুডে, হেরিটেজ, সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, বিচ ভিউ, সী ক্রাউন, ইউনি রিসোর্ট, উর্মি গেস্ট হাউজ, কোরাল রীফ, ইকরা বিচ রিসোর্ট, অভিসার, মিডিয়া ইন, কল্লোল, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট জিয়া রেষ্টহাউস, মেরিন প্লাজা, সী কূইন,প্যানোয়া পালংক্যি,মারমেড,গার্ডেন, নিরিবিলি, প্রবাল, শৈবাল ওপল লাবনী, কক্সটুডে, সী ওয়ার্ল্ড ও  সীগার্লসহ অসংখ্য থাকার জায়গা। 
 
খাওয়া দাওয়া: কক্সবাজারে আছে নানা মানের রেস্টুরেন্ট। খেতে পারবেন আপনার পছন্দমত জায়গায়। প্রায় প্রতিটি হোটেলেই আছে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। রেডিয়েন্ট ফিশ এ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্সেই আছে খাবার রেস্টুরেন্ট। এছাড়া কাছেই আছে সবার পরিচিত পৌষী ও ঝাউবন রেঁস্তোরা। 
 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর