পদ্মাসেতু নিয়ে দুশ্চিন্তায় অসুস্থ খালেদা জিয়া

বিএনপি-জামায়াতের নানা ষড়যন্ত্র ও বাধা সত্ত্বেও বহুল প্রত্যাশিত দেশের মেগাপ্রজেক্ট পদ্মাসেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর কয়েকদিন পর সেতুটির উদ্বোধন হবে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তায় আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ দলের সব নেতাকর্মীর কাছে বড় দুশ্চিন্তার কারণ পদ্মাসেতু। একের পর এক পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েও সফল হতে পারেননি তারা। শুরু থেকে পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত নেতাকর্মীরা খুব ভালো করে বুঝে গেছেন যে, গত নির্বাচনে বিএনপি যে-কটা ভোট পেয়েছিল এবার তাও পাবে না।

বিএনপি সূত্র জানায়, পদ্মাসেতুর সফলতার কারণে অন্তর্জ্বালায় পুড়ছেন দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল কোনো ইস্যু না পেয়ে খালেদা জিয়াকে পদ্মাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ডাহা মিথ্যা কথা সবার সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

সূত্র আরো জানায়, পদ্মাসেতু নিয়ে এক সময় মশকরা করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। কিন্তু আজ পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে। পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের কথা শোনার পর থেকে খালেদা জিয়ার দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়।

পদ্মাসেতুর সফল নির্মাণের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ করায় দেশের জনগণের পক্ষ থেকে বাহবা পাচ্ছে সরকার। সেতুটি দেশের জাতীয় অর্জন ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। দেশের সিংহভাগ জনগণ সেতু নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব ধারণ করছেন। এর ফলে খালেদা জিয়ার দুশ্চিন্তার মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এতে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত জনগণের মতামতকে কখনই গুরুত্ব দেয়নি। ক্ষমতায় থাকতে তারা যেমন জনগণের সম্পদ লুটপাট করে দেশকে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিল, তেমনি ক্ষমতার বাইরে থেকে একইভাবে জনগণের সম্পদ ধ্বংস, পোড়ানো, দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে লাশ ফেলতেও দলটি পিছপা হচ্ছে না। এসব কারণেই পদ্মাসেতুর মতো দেশের এত বড় অর্জন তাদের মাথাব্যথার কারণ। খালেদা জিয়া নিজেই পদ্মাসেতু নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেছিলেন। আজ তার চোখের সামনেই পদ্মাসেতু দৃশ্যমান। এ লজ্জা তিনি কোথায় রাখবেন?