সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |  আশ্বিন ৭ ১৪৩১ |   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পদ্মাসেতু নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি-জামায়াত

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২ ১৮ ০৬ ০১  

পদ্মাসেতু-নিয়ে-এখনো-ষড়যন্ত্রে-লিপ্ত-বিএনপি-জামায়াত

পদ্মাসেতু-নিয়ে-এখনো-ষড়যন্ত্রে-লিপ্ত-বিএনপি-জামায়াত

পদ্মাসেতু বহুমুখী প্রকল্প রুখতে দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রের মাধ্যম ব্যবহার করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের জোটসঙ্গীরা। কিন্তু সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা হবে। তবুও শেষ সময়ে এসে এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বিএনপি-জামায়াত।

জানা গেছে, পদ্মাসেতু প্রকল্প রুখতে বিএনপি-জামায়াত বিদেশিদের সহায়তা নেয়। তারা পদ্মাসেতুর অর্থায়ন আটকাতে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। তৎকালীন মার্কিন সরকারের এক মন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থায়ন আটকায় বিএনপি-জামায়াত। বিএনপি-জামায়াতের লবিস্ট ও মার্কিন সরকারের এক মন্ত্রীর প্ররোচনায় পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বিশ্ব ব্যাংক। একই সঙ্গে আটকে দেয় অর্থায়ন। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগটি কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

আন্তর্জাতিক আদালত রায়ে বলেন- পদ্মাসেতুর দুর্নীতির যে অভিযোগ বিশ্ব ব্যাংক করেছিল সেটি মিথ্যা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তখন তৎকালীন প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া সেতু নিয়ে নানা অপপ্রচার করেন। শুধু অপপ্রচারই নয়, তিনি পদ্মাসেতু নিয়ে রীতিমতো ঠাট্টা করেছিলেন। এরপর পদ্মাসেতুর অগ্রযাত্রাকে রুখতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করা হয়। দেশে জ্বালাও-পোড়াও করা হয়। কিন্তু সেই অপতৎপরতা সফল হয়নি, বরং দুর্বার গতিতে পদ্মাসেতুর কাজ এগিয়েছে।

পদ্মাসেতুর স্প্যান বসানোর আগে গুজব ছড়ায় বিএনপি-জামায়াত। ‘সেতুতে মাথা লাগবে’ বলে গুজব ছড়ায় বিএনপি-জামায়াত। তখন ছেলেধরা গুজবে সারাদেশে ২১টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারান পাঁচজন। 

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নির্মিত পদ্মাসেতু উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ২৫ জুন। কিন্তু শেষ সময়ে এসে পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে থেমে নেই দেশবিরোধী দলগুলোর অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র। তারা পদ্মাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ভুল তথ্য প্রচার করেছে। এছাড়া জনগণকে বিভ্রান্ত করতে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা পদ্মাসেতুর ব্যয়ের সঙ্গে চীন-ভারতের নির্মিত সেতুর ব্যয়ের তুলনা করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে অ্যামাজানের পর সবচাইতে খরস্রোতা নদী হচ্ছে পদ্মা। ফলে নদী শাসনে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ১৬ কিলোমিটার পাড় ধরে নদী শাসন করতে হয়েছে। ৫.৮ কিলোমিটার সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার হয়েছে। দুই হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করার কথা থাকলেও প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৬ হাজার একরের বেশি জমি। এছাড়া জনগণকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল তার তিনগুণ বেশি দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নেতারা পদ্মাসেতুর দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন না করেই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আসলে বিএনপির নেতারা বক্তব্যের রাজনীতি করেন। তারা কোনো বিষয়ে গবেষণার সক্ষমতা রাখেন না।

তারা আরো বলছেন, আগামী ২৫ জুন চালু হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের এ সেতু দেশের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী প্রভাব ফেলবে। শুরু থেকেই পদ্মাসেতু নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত ছিলেন বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। এখনো তারা পদ্মাসেতুর ব্যয় নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর