দেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং  সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ আজ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

শুক্রবার দলের এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছে। একইভাবে আগামীতেও আওয়ামী লীগ যেকোনো মূল্যে অতীতের মতো ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করবে।

বিএনপি নেতাদের প্রতিদিনের বক্তব্য-বিবৃতি রাজনীতির সকল ধরনের শিষ্টাচার ও শালীনতা লঙ্ঘন করে চলছে  উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের বক্তব্য ও বিবৃতি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পরিপূর্ণ। বিএনপি নেতাদের এ ধরনের বেপরোয়া ও দায়িত্বহীন বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে সঙ্কট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ভোট ডাকাতি ও গণতন্ত্র হত্যার জনক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে কথিত হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি প্রহসনে পরিণত করেছিল। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার বিএনপি ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে চিরদিনের মতো কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিল। রাজনীতির মাঠ থেকে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হাওয়া ভবনের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দখল করলেও প্রতিবারই জনরোষের কারণে তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আজ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ ও দেউলিয়া। তাদের শীর্ষ নেতারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ও দেশান্তরী। শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতির দায় রাজনৈতিকভাবে বয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপি। একেক নেতা একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন সুরে কথা বলছে। কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো জাতীয় সরকারের কথা বলে রাজনীতির মাঠ গরম করার ষড়যন্ত্র করছে, যা কখনও সফল হবে না। সংবিধানসম্মতভাবে যথাসময়েই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।