রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দার্জিলিংয়ের ভিড় চেপে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২২ ১৯ ০৭ ০১  

দার্জিলিংয়ের-ভিড়-চেপে-কাঞ্চনজঙ্ঘা-দেখা

দার্জিলিংয়ের-ভিড়-চেপে-কাঞ্চনজঙ্ঘা-দেখা

দার্জিলিং-গ্যাংটকের ভিড় এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে তাদের পছন্দ হয় অফবিট জায়গার কোনো হোম স্টে। আছে এমন জায়গা! কোনো ভিড়ভাট্টা নেই। কোলাহল নেই। আসলে এই জায়গাটা ফাঁকা আর ভিড় মিশিয়ে। মানে একেবারে যে টুরিস্টের দেখা পাবেন না তেমন নয়, আবার লোক গিজগিজও করবে না। মানে ছুটি কাটানোর জন্য ঠিক যেমনটা আমরা চেয়ে থাকি আর কি! 

দার্জিলিং জেলার অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম হল এই তিনচুলে। তিনটি ছোট পাহাড়ে ঘেরা এই গ্রাম। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন তিনটে চুল্লি। পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটলে পাইন গাছের সারি। আর সেখানে নানাধরনের পাখির বাস। আর তাদের কুহু কুহু ডাকে ভরে থাকে পুরো জায়গাটা। 

তিনচুলের খুব কাছেই তাকদা, দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার। ফলে সারা বছর এখানে শীতল আবহাওয়া পাবেন। বেশ আমেজ করে দেখতে পারবেন মেঘ-রোদ্দুরের খেলা। চুমুক দিতে পারবেন কফির কাপে। আধাঁর নামলেই চলবে বন ফায়ার। আর দার্জিলিং থেকে দূরত্ব ৩২ কিমি। আর নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৭০ কিমি। 

তিনচুলের আরেক পজিটিভ দিক হল গাড়ি রাস্তা ধরে খুব আরামে এখানে পৌঁছাতে পারবেন। সপরিবারে আসার জন্য এটা খুবই আদর্শ জায়গা। আর অনেকেই দাবি করেন আকাশ পরিষ্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘার যে ভিউ এখান থেকে পাওয়া যায়, তা নাকি টাইগার হিলেও নেই। 

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন

ট্রেন স্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে আসতে সময় লাগবে ঘণ্টা তিন। আর আসার পথে আপনি ঘুরে নিতে পারবেন তিস্তা ভ্যালি, তাকদা, লামাহাটা।  তিনচুলের সবচেয়ে জনপ্রিয় থাকার জায়গা হল রাই রিসোর্ট। এই রিসোর্টের মধ্যেই রয়েছে একটা ভিউ পয়েন্ট। যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার পুরো রেঞ্জ চোখে পড়ে। তবে এটি একটু খরচসাপেক্ষ। এছাড়াও রয়েছে ওয়াও পুনম হোমস্টে, অভিরাজ হোমস্টে, গুরুং গেস্ট হাউজ, তিনচুলে হিমলয়ান হোমস্টে। প্রতিটাতেই থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু একজনের খরচ পড়বে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকার মতো।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর