শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ |  কার্তিক ৩০ ১৪৩১ |   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দলের বুদ্ধিজীবীদের পছন্দ হলেও সিইসিতে নাখোশ বিএনপি

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬ ০৪ ০২  

দলের-বুদ্ধিজীবীদের-পছন্দ-হলেও-সিইসিতে-নাখোশ-বিএনপি

দলের-বুদ্ধিজীবীদের-পছন্দ-হলেও-সিইসিতে-নাখোশ-বিএনপি

সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাবিত নামের তালিকায় ছিল এ সাবেক সিনিয়র সচিবের নাম।

এরই মধ্যে নতুন এ সিইসিকে মেনে নিতে সব বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কিন্তু বিএনপিপন্থী এ বুদ্ধিজীবীর আহ্বান বিরোধী দলগুলোসহ সুশীল সমাজ মেনে নেবে কিনা, রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে কিছুদিন আগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেছিল রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটি। সে আলোচনায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও ছিলেন। সার্চ কমিটির কাছে তিনি যে আট জনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন, সেই নামের তালিকায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নামও ছিল। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রাজনৈতিক মহলে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবেই পরিচিত। ব্যক্তিগতভাবে অনেকে তার রাজনৈতিক ভাবনার বিপরীতে অবস্থান করলেও তার ভালো কর্ম-উদ্যোগের প্রশংসা করেন, শ্রদ্ধা জানান। 

সুশীল সমাজ বিশেষ করে বদিউল আলম মজুমদার, ড. শাহদীন মালিক, আসিফ নজরুলসহ অনেকেই ডা. জাফরুল্লাহকে পছন্দ করেন, শ্রদ্ধা করেন এবং সুশীল সমাজে তার একটি গ্রহণযোগ্যতা আছে। ফলে রাজনৈতিক সচেতন অনেকেই মনে করছেন, এবারের নির্বাচন কমিশন নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা খুব একটা প্রশ্ন তুলবেন না। তবে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। 

আরো পড়ুন>>> যেসব কারণে নির্বাচনে যেতে চায় না বিএনপি

বিশেষ করে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি এরই মধ্যে বলে দিয়েছে, এ কমিশন গ্রহণযোগ্য নয়। তারা এ কমিশন মানেন না। তাদের লক্ষ্য নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন। তাদের এ আচরণকে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এ কমিশনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি দল যেভাবে তাদের সরকার পক্ষ বলে অভিহিত করছে, তাতে করে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের সবারই।

নতুন এই সিইসির নাম কিন্তু ডা. জাফরুল্লাহও প্রস্তাব করেছিলেন। এছাড়া তিনি একজন সৎ, মেধাবী, দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃত। তিনি তার কর্মজীবনে কখনোই পক্ষপাতের নজির স্থাপন করেননি, তিনি কারো সুবিধাভোগী হিসেবেও চিহ্নিত নন।

ফলে মুখে মুখে বিএনপি বিরোধিতা করলেও ভেতরে ভেতরে তারাও খুশি একজন নিরপেক্ষ সিইসি হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগে। তার এই প্রধান নির্বাচন কমিশন হওয়ার মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Provaati
দৈনিক প্রভাতী
এই বিভাগের আরো খবর